ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। লাদাখে ছটি নতুন পাহাড়ি এলাকা দখল করল ভারত। গত ২০ দিনের মধ্যে এই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। চিনকে টেক্কা দিয়ে লাদাখে জয়জয়কার ভারতের। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই পার্বত্য অঞ্চল দখলের চেষ্টায় ছিল চিন।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন ফিঙ্গার ফোর এলাকায় ছটি নতুন পার্বত্য অঞ্চলের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। মাগার হিল, গুরুঙ্গ হিল, রেজাং লা, রেচাং লা, মোখপরী এবং ফিঙ্গার ফোরের সবথেকে বড় চূড়ার দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা বলে খবর।
সরকারি সূত্রের খবর প্যাংগং লেকের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পার্বত্য অঞ্চলে অসম সাহসিকতার প্রদর্শন করে এই এলাকাগুলির দখল নিয়েছে সেনা। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকার ওপর দখলদারি চালানোর চেষ্টা করেছিল চিন, যা সফল হতে দেয়নি ভারত। ২৯শে অগাষ্ট থেকে এই এলাকার দখল নিয়ে সংঘাত চলছে ভারত ও চিনের।
সরকারি সূত্রের খবর, চিন সেনা প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে ঠাকুং এলাকার ক্রমাগত দখলদারির চেষ্টা চালিয়েছে। ২৯ ও ৩০শে অগাষ্টের মধ্যবর্তী রাতে চিনা সেনার এই দখলদারি ঠেকাতেই ফায়ারিং হয়। সূত্র বলছে ব্ল্যাক টপ ও হেলমেট টপ দখল নিয়েও সংঘাত রয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতীয় সেনার দখল করা রেচাং লা ও রেজাং লা পার্বত্য এলাকার কাছেই অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে ফের কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক হতে চলেছে ভারত ও চিনের মধ্যে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৈঠক হবে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর।
শনিবারই নয়াদিল্লিতে ভারতের অবস্থান ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক চলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নেতৃত্বেই বৈঠক চলে। উপস্থিত ছিলেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে সরার বিষয়ে অনড় ভারত।
অন্যদিকে, ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতিতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনা বাড়াল ভারত।
জানা যাচ্ছে, ভারত এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৩০০০ ট্রুপ মোতায়েন করা হয়েছে। হঠাত করে কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! লাদাখে ভারত এবং চিন উত্তেজনার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে অতিরিক্ত এই বাহিনীকে কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।