লাদাখে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে চিনকে ভাতে মারার ছক কষেছে ভারত। চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আত্মনির্ভর ভারত তৈরির স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় আরও একধাপ এগোল ভারত। কার্যত চিনের উপর আরও এক স্ট্রাইক। এবার থেকে চিন থেকে জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করে দিল ভারত।
রয়টার্সের প্রকাশিত এক সংবাদ অনুযায়ী, গত জুনে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা শহিদ হয়। আর এই ঘটনার পর সীমান্তবর্তী দেশগুলি থেকে তেল আমদানি না করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। এরই ভিত্তিতে চিনের কোনও কোম্পানির কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল না নেওয়ার সিদ্ধান্ত মোদীর ভারতের।
এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের তেল শোধনাগারগুলি এখন আর চিনের বিক্রেতাদের কাছ থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনবে না। যা চিনের কাছে বড়সড় ক্ষতি হিসাবেই দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ভারতীয় সংস্থাগুলি সিএনওওসি লিমিটেড, ইউনিপ্যাক এবং পেট্রোচায়নার মতো চিনের বাণিজ্য সংস্থাগুলি অপরিশোধিত তেল আমদানির দরপত্র পাঠানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
ভারতের জ্বালানি তেল সংক্রান্ত কোনও টেন্ডারেও চিনের কোম্পানিগুলোকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এমনকি তেল আমদানির জন্য চিনের কোনও তেল ট্যাংকারও ব্যবহার করছে না নয়াদিল্লি। প্রায় কয়েকমাস হতে চলল ভারত এবং চিনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিনের বাহিনী। বার বার তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও এই বিষয়ে এখনও কোনও সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে একের পর এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার। প্রথমে চিনের অ্যাাপ রাতারাতি বন্ধ করা। একের পর এক সরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত চিনের সংস্থাগুলিকে কার্যত পথ দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার আরও বড় পদক্ষেপ। এবার আর চিন থেকে জ্বালানি তেল কিনবে না ভারত।