প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান আর চীনের মনোভাব দেখে ভারত তিন সেনাকে আরও মজবুত করার কাজ করছে। সময় আসলে শত্রুদের কড়া জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে ভারত। আর এরই মধ্যে ভারত এমন এক মিসাইল বিকশিত করছে, যার দ্বারা ভারতীয় বায়ুসেনা শত্রুদের হাওয়াতেই ১৬০ কিমি দূর থেকে নিমিষেই গুঁড়িয়ে দিতে পারবে আর শত্রুরা এই মিসাইলের আঘাত থেকে নিজেদের সামলাতেও পারবে না। ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের বাইরে এয়ার টু এয়ার মিসাইল অস্ত্র-র গতি এত দ্রুত হবে যে শত্রুরা সামলানোর সুযোগই পাবে না।
ভারত এই বছর অস্ত্র মার্ক-২ মিসাইল পরীক্ষণ করবে। হাওয়া থেকে হাওয়ায় মার করতে সক্ষম অস্ত্র মিসাইলের গতি শব্দের থেকেও চারগুন বেশি। এই মিসাইলের রেঞ্জ ১৬০ কিমি। আর এই মিসাইল ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের বাইরেও শত্রুদের সহজেই নিশানা করতে পারবে। সংবাদসংস্থা ANI কে ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিক জানিয়েছে যে, অস্ত্র মিসাইলের পরীক্ষণ এবছরেই শুরু হবে। আর সফল পরীক্ষণের পর ২০২২ এর শেষের দিকে সেটি ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এই নেক্সট জেনারেশ মিসাইল প্রোগ্রামের সঙ্গে গত বছর থেকে যুক্ত হওয়া প্রাক্তন সেন্ট্রাল এয়ার কম্যান্ডার এয়ার মার্শাল এসবিপি সিনহা বলেন, হাওয়া থেকে হাওয়ায় নিশানা করতে সক্ষম এটি একটি বেয়োন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ মিসাইল। যদি লক্ষ্য চোখে দেখাও না যায়, তাহলেও এই মিসাইল নিজের লক্ষ্যকে সহজেই গুঁড়িয়ে দিতে পারবে।
এই মিসাইল ৪.৫ ম্যাক (৫৫৫৬.২) কিমি গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এই মিসাইল ১.৫৪ কিমি দুরত্ব নির্ধারণ করতে পারবে। ভারতীয় বায়ুসেনা এই মিসাইলটিকে স্বদেশী লড়াকু বিমান তেজসের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়। তেজস বিমানের সঙ্গে এই মারক মিসাইলকে যুক্ত করার কাজ চলছে। এই মিসাইল রাশিয়া, ফ্রান্স আর ইজরাইলের BVRAAM এর জায়গা নেবে। ভারতীয় বায়ুসেনা আর নৌসেনা ২৮৮ অস্ত্র-২ মার্ক ১ মিসাইলের প্রথম অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। এই মিসাইল গুলোকে শুখোই MKI বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।