দেশে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাগাতার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের নিরীখে ভারত আবার নতুন রেকর্ড তৈরী করল। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জনের শরীরে। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯ জন। কোরোনার বলি হয়েছে ১ হাজার ৩৪১ জন। যা শুক্রবারের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি।এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫০জন মানুষ করোনার বলি হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫৪ জন। এইমুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪০জন। এখনও পর্যন্ত কোভিড টিকা পেয়েছেন দেশের ১১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৪১ জনকে। তবে সংক্রমণ তাতেও রোখা যাচ্ছে না।
উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সংক্রমণের গতি শ্লথ করতে ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ পালনের আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মোদি লেখেন, “দুটো শাহী স্নান হয়ে গিয়েছে। এবার আমার প্রার্থনা যে করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে প্রতীকী কুম্ভমেলা পালন করা হোক। এর ফলে এই সংকটের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাওয়া যাবে।”
এদিকে, জমায়েত এড়াতে ফের কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে জাদুঘর, তাজমহল – ASI’এর অধীনে থাকা সব কটি ঐতিহাসিক স্থানের গেট দর্শকদের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে কয়েকটি রাজ্য সরকার আংশিক বিধিনিষেধ, সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং নাইট কারফিউ-এর মত পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রবিবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। প্রথমবার মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লে জরিমানা দিতে হবে ১০০০ টাকা এবং দ্বিতীয়বার মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই এই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার টাকা।শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ থাকবে।মহারাষ্ট্রে ১৫ ই এপ্রিল থেকে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারি করেছেন। শনি ও রবিবার রাত ১০ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ । পাশাপাশি, বন্ধ করে দেওয়া হবে স্পা, জিম, শপিং মল।