করোনা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অশান্তির পর্বের আগেই ২০১৯ সালে ই-ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন ২ লক্ষ ২৬ হাজার ২১০ চিনা নাগরিক। তাঁরা ব্যবসা, পর্যটন, সেমিনার, চিকিৎসাজনিত কারণ-সহ একাধিক কাজ নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অতিমারী পর্বের আগেই দেশে রেকর্ড সংখ্যায় চিনা নাগরিক এসেছিলেন। লাদাখেও সেই সময় ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়নি। সেই পর্বের আগেই ভারতে নানা কাজে রেকর্ড সংখ্যায় চিনা নাগরিক এসেছিলেন। আমেরিকা ও ব্রিটেনের নাগরিকদের পরেই অতিমারীর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যায় চিনের নাগরিকরাই এদেশে পা রেখেছিলেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ভারতে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ২১০ চিনা নাগরিক ব্যবসা, পর্যটন, সেমিনার, চিকিৎসাজনিত কারণ-সহ একাধিক কাজ নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। ২০১৮ সালে ভারতে ই-ভিসা নিয়ে আসা চিনা নাগরিকদের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৪৬। ২০১৯ সালে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি চিনা নাগরিক ভারতে আসেন।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারত ১৬৬ দেশের নাগরিকদের জন্য ২০১৮ সালে ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার ২৭৩টি ই-ভিসা ইস্যু করে। একইভাবে ২০১৯ সালে ২৮ লক্ষ ৮৭ হাজার ২২০টি ই-ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ব্রিটেন থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মানুষজন এদেশে এসেছিলেন। সেবছর ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৭৩ জন ব্রিটেনের নাগরিক ই-ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। ব্রিটেনের পরেই সেবছর ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৮ জন মার্কিন নাগরিক নানা কাজ নিয়ে ভারতে এসেছিলেন।
২০১৯ সালে ফ্রান্সের ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৮৩ নাগরিককে ই-ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল। একইভাবে মালয়েশিয়ার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭১ এবং রাশিয়ার ১ লক্ষ ৩১ হাজার ১২৫ নাগরিককে ২০১৯ সালে ভারতে আসার ক্ষেত্রে ই-ভিসা ইস্যু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া ও রাশিয়ার নাগরিকদের ভারতের আসার সংখ্যা ১০০ শতাংশ বেড়েছিল।