লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত-সংঘাতের আবহে মস্কোতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে সামরিকক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বড়সড় চুক্তি করল ভারত। AK-47 203 রাইফেল তৈরিতে দুই দেশের মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
একে-৪৭ রাইফেল ক্যাটাগরির সবচেয়ে লেটেস্ট এবং অ্যাডভান্সড সংস্করণ এই AK-47 203। ইন্ডিয়ান স্মল আরম সিস্টেম ৫.৫৬x৪৫ এমএম রাইফেলের জায়গায় একে৪৭-এর এই ভার্সনটি ব্যবহার করা হবে।
ভারতীয় সেনার তরফে ৭৭০,০০০টি AK-47 203 প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে আবেদন জানানো হয়েছিল। মোট সংখ্যার ১০০,০০০টি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে এবং বাকি অংশ ভারতেই প্রস্তুত করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক নিউজ এজেন্সি।
তবে ভারত সরকারের তরফে রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। ভারত ও রাশিয়া যৌথ প্রয়াস ইন্দো-রাশিয়ান রাইফেল প্রাইভেট লিমিটেডের অংশ হিসেবে দেশের মাটিতেই তৈরি হবে একে-৪৭ ক্যাটাগরির সর্বশেষ এবং উন্নততম রাইফেল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড সবচেয়ে বেশি ৫০.৫ শতাংশ অংশীদার অণ্যদিকে কালাশনিকোভ গ্রুপ সেখানে ৪২ শতাংশ পাবে। রাশিয়ার সরকারের রফতানি সংস্থা রোসোবর্ণএক্সপোর্টের হাতে থাকবে ৭.৫ শতাংশ।
রাশিয়ান অস্ত্র ৭.৬২*৩৯ এমএম রাইফেল উত্তরপ্রদেশের কোরওয়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হবে। ২০১৯ সালেই বিশাল এই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিস্থাপন এবং প্রস্তুতকারক ইউনিট নিয়ে একে৪৭ ক্যাটাগরির সাম্প্রতিকতম এই সংস্করন প্রতি খরচ প্রায় ১,১০০ ইউএস ডলার। ১৯৯৬ সাল থেকে ইনসাস হিমালয়ের উচ্চতায় এবং প্রতিকুল পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় ইন্ডিয়ান স্মল আরম সিস্টেম।
সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে একাধিক চুক্তি নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগুর সঙ্গেও আলাদা করে বৈঠক করেছেন রাজনাথ সিং। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন রাজনাথ। রাশিয়ার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিক্টরি ডে-র ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজনাথ। সেখানে গিয়ে তিনি বর্ণাঢ্য সামরিক কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। ওই কুচকাওয়াজে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী।