দেশের করোনা গ্রাফের ওঠানামা অব্যাহত। চার মাস পর মঙ্গলবারই একলাফে অনেকখানি কমেছিল দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু বুধবারের রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বাড়ল প্রায় ৩৬ শতাংশ। তবে ১৪০ দিনে এই প্রথম সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ হাজার ৩৫৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৪৯৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ১৭৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও কমল অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৫১ জন। যা ১৪০ দিনে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৯৮১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৩ জন। সুস্থতার হার ৯৭.৪৫ শতাংশ।
এরই মধ্যে দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই টিকাকরণের গতি বাড়ানোকেই পাখির চোখ করেছে কেন্দ্র। করোনা রুখতে দুই টিকার মিশ্রণ কতখানি উপকারি, তা নিশ্চিত হতেও এবার শুরু হল পরীক্ষানিরীক্ষা। এর জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI-এর তরফে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের মিশ্র ট্রায়ালে সবুজ সংকেত দেওয়া হল। ইতিবাচক ফল মিললে প্রথমে কোভিশিল্ড টিকার পর দ্বিতীয় টিকা হিসেবে নেওয়া যেতে পারে কোভ্যাক্সিন।
এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ৫২ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।