করোনার বছর পূর্তিতে ফের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে হু-হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও৷ গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ৬২,২৫৮। যা আগের দিনের থেকে কয়েক হাজার বেশি। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী শনিবার পর্যন্ত সারা দেশে করোনা সংক্রমণের গন্ডি পেরিয়েছে ৬০ হাজারের উপরে। যার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,১৯,০৮,৯১০। এই পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১,৬১,২৪০ জনের। তবে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৮৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৪,৫২,৬৪৭ টি। সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১,১২,৯৫,৬৩৭ জন এবং এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন ৫,৮১,৯, ৭৭৩ জন।
অন্যদিকে গত চার মাস মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্মমুখী থাকলেও গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আক্রান্তের গ্রাফচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৩৬,৯০২ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যা একদিনে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সর্বোচ্চ। এমনকি গত বছর মহামারীর শুরুর পর থেকে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে এই রাজ্য।
অন্যদিকে সংক্রমণের চেন ভাঙতে শুক্রবার মহারাষ্ট্র সরকার নাইট কার্ফু জারি করেছে। নাইট কার্ফু চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে যানবাহন চলাচলের উপর সেভাবে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।
এদিকে রাজধানীতেও তড়তড়িয়ে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। শুক্রবার পর্যন্ত নতুন করে দিল্লিতে মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে ১,৫৩৪টি। ফলে রাজধানীতে বর্তমানে মোট অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০৫১ টি।
উল্লেখ্য, দেশে গত বছর আগস্ট মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ লাখ। ২৩ আগস্ট সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ লাখ। সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ মোট করোনা আক্রান্ত ছিল ৪০ লাখ। সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে হয় ৫০ লাখ।
২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ। অক্টোবরের ১১ তে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ৭০ লাখে এবং অক্টোবরের ২৯ তারিখ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ। এরপর নভেম্বর এর ২০ তারিখ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছয় কোটির ঘরে।
তবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর তথ্য অনুসারে, ২৫ মার্চ অবধি দেশে মোট ২৩,৮৬,০৪,৬৩৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।