কাশ্মীর ইস্যুতে বারবার পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের কি এবার পাল্টা কূটনৈতিক ছক ভারতের ? চিনে মহামারীর আকার নেওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পাকিস্তানি পড়ুয়দের নিজেদের দেশে ফেরাতে নারাজ পাকিস্তানের ইমরান সরকার | এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয় | সোশ্যাল মিডিয়ায় পাক-পড়ুয়াদের কাতর আবেদন গোটা বিশ্ব বাসীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে | সেই আবেদনের পরেও করোনার আঁতুড়ঘর সেই হুবেইতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পাক সরকারের রাষ্ট্রপতি থেকে অন্যান্য নেতারা |
কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের মানবিক দিক তুলে ধরার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি ভারত | ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বৃহস্পতিবার জানান, যদি পাকিস্তানী পড়ুয়ারা চান তবে তাদের সেখানে থেকেে উদ্ধারের জন্য সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে ভারত | যদিও বিদেশ মন্ত্রক থেকে বারবার একথাও স্বীকার করা হয় যে পাকিস্তানে ভারতের থেকে এই বিষয়ে কোন সাহায্য প্রার্থনা করেনি |
এই ঘোষণাকে ভারতের কূটনৈতিক চাল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা | কারণ সিএএ থেকে কাশ্মীর ইস্যু দেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতেই পাকিস্তান প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষে নাক গলিয়ে চলেছে | ভারত তাই পাকিস্তানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া এই পড়ুয়াদেরকেই কাজে লাগাতে চাইছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা | তবে এই প্রস্তাবে যে পাকিস্তান কোন ভাবেই সাড়া দেবেনা তাও বেশ জানে দিল্লি |
পাকিস্তান ও চিনের বিমান পরিষেবা চালু থাকলেও তাদেরকে দেশে ফেরানোর কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না বলে জানান ওই পড়ুয়ারা | ইউহানে রয়েছেন ৫০০ পড়ুয়া গোটা চিন দেশে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৮০০০বলে সূত্রের খবর | ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতের ৬৪৫জন পড়ুয়ার সঙ্গে ওখান থেকে ৭ মালদিভের বাসিন্দাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে | সম্প্রতি ভারতের এয়ারবাসের ছবি পোস্ট করে এক পড়ুয়া লেখেন, “ভারতের দেখে শেখা উচিত পাকিস্তানের | শেম অন পাকিস্তান গভর্মেন্ট |” এই পোস্ট দেখার পরেই ভারতের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয় |