ভারত (India)জানিয়েছে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আনতে চলেছে কিছু দেশের জন্য, তবে এখন থেকেই তা শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। লাদাখে ভারত-চিন (Indo-china)সীমান্ত সংঘর্ষের মাঝে ফের বাণিজ্যিকভাবে চিনকে কোণঠাসা করল ভারত। চিন থেকে কোনও বৈদ্যুতিক সামগ্রী আমদানি করা হবে না, এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং।
শুক্রবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের সময় পরিষ্কার অন্যরাজ্যের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, চিন এবং পাকিস্তান থেকে কোনপ্রকারের বৈদ্যুতিক সামগ্রী আমদানিতে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
এও জানানো হয়েছে, কোন রাজ্যের তরফে চিনা সংস্থার থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে বারণ করা হয়েছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতে আর কে সিং জানিয়েছেন, “আমরা এখানেই সব প্রস্তুত করি। ভারত ৭১ হাজার কোটির বৈদ্যুতিক সামগ্রী আমদানি করেছে যার মধ্যে ২১ হাজার কোটি চিন থেকে হয়েছে”।
তবে লাদাখে যেভাবে চিন ক্রমশ ভারতীয় ভূখন্ডে থাবা বসিয়েছে তারপর আর তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চিন এবং পাকিস্তানের থেকে আর কিছু নেব না বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পাশাপাশি স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, “আমরা কিছু দেশ থেকে জিনিস আমদানিতে আর অনুমোদন দেওয়া হবে না। কারণ ভারতকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে তাঁদের দ্বারা”। চিন যেভাবে প্রযুক্তি দিয়ে গোটা বিশ্বকে ঢেকে দিয়েছে যেকোনো দিন ম্যালওয়্যার এবং ত্রোজেন হর্স দিয়ে দূর থেকেই ক্ষতি করতে পারে লাল চিন।
পূর্ব লাদাখে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন তাই ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে কড়া প্রত্যাঘাত ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী ভারত। তাই অবৈধভাবে যারা ভারতীয় ভূখন্ড দখল করছে তাঁদের জন্য কঠোর বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবকে সামনে রেখে এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেছে। নির্দিষ্ট কিছু দেশের কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হতে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে। সঠিকভাবে প্রয়োগ এবং তাঁর প্রভাবও দেখা হবে। তবে এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে চিনা কোম্পানিগুলি কারণ এখনও ভারতের ভূখন্ডের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার দখল করে রয়েছে বেজিং। সেই সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তান যারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অনেকটা দখল করেছে এবং শাক্সম ভ্যালি থেকে চিন অবধি ৫০০০ বর্গকিলোমিটার দখল করে রয়েছে।