‘ব্লু ওয়াটার নেভি’ অর্থাৎ খোলা সমুদ্রে অপ্রতিরোধ্য শক্তি হয়ে উঠেছে ভারত। এবার দেশের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে নৌসেনায় শামিল হয়েছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী আইএনএস কাভারাত্তি (INS Kavaratti)।
বুধবার, স্টেলথ করভেটটির নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বিশাখাপট্টনমের নেভাল ডকয়ার্ডে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে আইএনএস কাভারাত্তির আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি করেন স্থলসেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এই মর্মে এক বিবৃতিতে নৌসেনা জানিয়েছে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ (Anti-Submarine Warfare stealth corvette)। এর আগে এমন তিনি জাহাজ নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই স্বাবলম্বী হতে এই রণতরীটির নকশা তৈরি করেছে ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন।
উল্লেখ্য, জলদস্যু দমনের নামে প্রায়ই ভারত মহাসাগরে ঢু মারছে চিনা রণতরী। লালফৌজের উদ্দেশ্য যে সাধু নয়, তা বুঝতে মোটেও অসুবিধা হচ্ছে না ভারতের। লাদাখে কমিউনিস্ট দেশটির আগ্রাসন সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে যে কোনওভাবেই সম্প্রসারণবাদী নীতি থেকে পিছু হটবে না বেজিং। তাই সাগরেও লালফৌজকে টেক্কা দিতে তৈরি হচ্ছে নৌসেনা। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগামী বছরই ভারতের হাতে আসবে চারটি পি-৮আই বিমান ( P-8I Neptune)। এছাড়া, ২০২১ সালে এমন আরও ছ’টি বিমান কিনতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। পি-৮আই বিমানগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার। বিমানগুলিতে রয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হালকা ওজনের টর্পেডো ও ডেপথ চার্জ (সাবমেরিন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়)। শক্তিশালী রেডিও সিগনালের মাধ্যমে যা কিনা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ, দুই-ই ধ্বংস করতে সক্ষম।