পুলওয়ামা ঘটনার জবাব দিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করেছিল বায়ুসেনা। সেখানে জঙ্গি সংগঠন জৈশের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস করে বায়ু সেনা। এই ঘটনার পরই পাকিস্তানের কোমর কার্যত ভেঙে যায়। তখনি পাকিস্তানের ধাকা ভারতের কূটনীতিকদের ডেকে পাঠায় পাকিস্তান।
শুধু তলব করা নয় রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের। তাদের পরিবারও এই হয়রানি থেকে বাদ যায়নি। তিনটি পৃথক ঘটনা উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই পাক বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত। ঘটনা গুলি ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী ঘটনা। তাই এর তদন্তের জন্য ভারত অনুরোধ জানিয়েছে পাক বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ার স্ট্রাইক করে ভারতের বায়ু সেনা। পরের দিনই পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনের গাড়িতে দূতাবাসে আসছিলেন দুই ভারতীয় কূটনীতিক। তাদের গাড়ি ধাওয়া করে পিছনে আসে একটি পাকিস্তানি গাড়ি। মাঝ রাস্তায় তাদের গাড়ি আটকে দাঁড়ায় ওই পাকিস্তানের গাড়িটি। গাড়ি থামিয়ে তাদের দুজনকে বলা হয় তোমাদের মেরে দেবো। তোমরা সব সময় সমস্যা সৃষ্টি করছ। খারাপ আচার আচরণ করছো।
এয়ার স্ট্রাইক এরপর যখন পাক বিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাদের পিছু ধাওয়া করে ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাক বিমানকে ধ্বংস করার পর ভারতের উইং কমান্ডারের বিমান ক্রাশ করে যায়। প্রাণে বাঁচতে প্যারাসুটে অভিনন্দন নামেন পাকিস্তানে। সেখানে অভিনন্দনকে আটক করে পাকিস্তান সেনা। দীর্ঘ ৫৪ ঘন্টা অভিনন্দন কে আটকে রাখার পর শেষমেষতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানকিন্তু সেই দিন ও পাকিস্তানিদের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকরা । দুই ভারতীয় আধিকারিক কে অনুসরণ করে তাদের ছবি তোলা হয় ঐদিন। এটি ছিল দ্বিতীয় ঘটনা। তৃতীয় ঘটনা হচ্ছে যখন একজন ভারতীয় আধিকারিক বাজারে যাচ্ছিলেন আইএসআই এজেন্ট ১০ মিটার দূরত্বে। মোটর বাইকে তাকে অনুসরণ করেন। এই তিনটি ঘটনার উল্লেখ করে ভারতীয় হাই কমিশনের সদস্য ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব মনে করিয়ে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে ভারত।