যদিও ভারতের অবস্থা চিন্তাজনক। প্রতিবেশী দেশে হামলা চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এই অবস্থায় চিকিৎসা এবং অন্যান্য সাহায্য পাঠানোয় ভুটান কৃতজ্ঞ। এমনই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং।
চিনের প্রতিবেশী হলেও ভুটানে করোনা সংক্রমণ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক। যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিক সহ যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে সবাই সুস্থ। এমনই জানানো হয়েছে।
তবে ভাইরাস রোধে বিপুল জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে ভুটান। পাশাপাশি ভারত থেকে এসেছে সাহায্য। এতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ভুটান সরকারের।
দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অবস্থায় ভারতের তরফে সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সম্পর্ক আরও মজবুত করল।
ভুটান-ভারত বন্ধুত্বের কূটনৈতিক সূত্রপাত হয় ১৯৪৯ সালে। সেই বছর দার্জিলিং শহরে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের চুক্তি বা মৈত্রী চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল।
পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রথম কোনও বিদেশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভুটান সফর করেছিলেন। তৎকালীন ভুটান রাজা জিগমে দোরজি তাঁকে বরণ করেন। চুক্তি অনুসারে ভারতের তরফে ভুটানের উন্নয়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিরাট জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি চালিয়ে আসছে ভুটান সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রক আগেই জানিয়েছে, প্রতিবেশী ভুটান ও আফগানিস্তানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে ভারতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে, করোনা এখন বিশ্ব জোড়া মহামারিক আকার ধারণ করেছে। চার হাজারের বেশি মত। চিনেই মৃত সাড়ে তিন হাজারের মতো। এছাড়া ইতালি, ইরান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আরও কিছু দেশ মিলিয়ে ৬০০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। চিনের পরেই সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ এই ভাইরাস সংক্রমণের শিকার।