ইন্ডিয়া গেটে ৯৫৩০০ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম নাম খোদিত আছে, যার মধ্যে ৬১৩৯৫ মুসলিম…. ০০ জন RSS ইত্যাদি ‘ – এই রকম বক্তব্যের সত্যতা কি আপনি মানেন?
বছর দেড়েক আগে AIMIM -এর আসাদুদ্দিন ওয়েসীর একটি গরমাগরম বক্তৃতার পর ফেসবুক টুইটারে হুহু করে ছড়িয়ে পড়া উপরিউক্ত তথ্যগুলো যে জঘণ্য রকমের মিথ্যা, তার প্রমাণ, ইন্ডিয়াটুডে, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এমনকি কুইণ্ট পোর্টালও দিয়েছে। এটিকে ডাহা মিথ্যা হিসাবে গণ্য করেছে সবাই। তাই এই ধরনের গরমাগরম বক্তৃতায় বিশ্বাস না করাই উচিত। এত কিছুর পরেও অনেকেই এই ভ্রান্তধারণা পোষন করে চলেছে। দেশের নাগরিক হিসাবে এই ভ্রান্তধারনা নিরসন কর্তব্য মনে করলাম।
উইকিপিডিয়া সহ বহু ওয়েবসাইটে আসল সত্যটি লেখা আছে। আসলে ইন্ডিয়া গেট ব্রিটিশদের বানানো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে লড়াই করা শহীদ দের স্মরণে তৈরি করা স্তম্ভ, যাতে খোদিত আছে সেইসব সৈন্যদের নাম, যারা সেইসময় যারা ব্রিটিশ সেনার হয়ে লড়েছিল।
যাই হোক, যে সময় স্বাধীনতার জন্য সারা দেশ চেষ্টা করছিল, হাজার হাজার বিপ্লবী প্রাণ দিচ্ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, সেই সময় ব্রিটিশদের সেনায় যারা অংশগ্রহণ করেছিল, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসাবে তাদের কতটা সম্মান প্রাপ্য বলে আপনি মনে করেন… আপনিও ভেবে দেখুন। আর ফেক নিউজ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকেও যথাসম্ভব দূরে থাকুন।
আরো একটি প্রশ্ন থেকেই যায় তাদের শিক্ষার বহর নিয়ে, যারা মনে করে যে, ব্রিটিশদের অধীন ভারতে ব্রিটিশরাই ইন্ডিয়া গেট -এর মতো স্মৃতিসৌধ বানাচ্ছে সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম স্মরণ করতে, যারা তাদের অফিসারদের হত্যা করছে বা হত্যার সাথে জড়িত থাকছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, যারা তাদের কাছে জঘণ্য ক্রিমিনাল ?? সাধারন বোধবুদ্ধি বলেও তো একটা জিনিস আছে নাকি??
তথ্যের সূত্র গুলো দেওয়া হলো –
রাজেন্দ্র দত্ত