দেশের অনেক সরকারি সংস্থা বিশ্বমানের অস্ত্র তৈরি করে। এখন বিদেশি বাজারের দরজা তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে, কেন্দ্রীয় সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর আওতায় সরকার দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে।
‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব হল এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র যার ৯৬ শতাংশ ভারতেই তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাটি থেকে আকাশে ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে হামলা করতে পারে। ভারতীয় বিমানবাহিনী ২০১৪ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে এটি ভারতীয় বাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী / প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী / অ্যারো ইন্ডিয়ার সময় অনেক দেশ আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সরকারের সিলমোহরের পরে ভারতীয় নির্মাতারা বিভিন্ন দেশ থেকে জারি করা আরএফআই / আরএফপিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। কিছু দেশ ‘আকাশ’ ছাড়াও উপকূলীয় নজরদারি সিস্টেম, রাডার এবং এয়ার প্ল্যাটফর্মগুলির প্রতিও আগ্রহ দেখিয়েছে।
স্টকহোম আন্তর্জাতিক পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসপিআরআই) এর রিপোর্ট বলছে, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন ছিল অস্ত্র রফতানিতে ভারত কোথায় থাকছে? এবার সেই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এর অধীনে দেশ প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির জন্য নিয়মিত উদ্যোগ নিচ্ছে।
সরকার গত কয়েক বছরে রফতানির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৬-১৭ এর তুলনায় ২০১৮-১৯ সালে সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। বর্তমানে ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা শিল্পে নিজের বিস্তার ছড়াতে মরিয়া রয়েছে।
ভারত বর্তমানে ৪২ টি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। যার মধ্যে রয়েছে কাতার, লেবানন, ইরাক, ইকুয়েডর এবং জাপানের মতো দেশগুলি। ফলে তেরঙ্গা’র মান যে বাড়ছে তা বলাই যায়।