লকডাউনের প্রভাব কিছুটা পড়লেও শেষমেস খুব একটা সামলানো গেল না সংক্রমণ। যেভাবে হু হু করে দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে রীতিমত আশঙ্কার মেঘ দেশ জুড়ে।
রবিবারই রাশিয়াকে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। রবিবার সন্ধেয় ভারতের কয়েকটি রাজ্য জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার। এই রোগের জেরে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ২৮৩ জন।
সারা পৃথিবী জুড়ে কোরনা সংক্রমণের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। আমেরিকায় কোরনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৩৯ হাজারেরও বেশি, অন্যদিকে ব্রাজিল এর সংখ্যা হল ১৫ লক্ষ ৭৭ হাজারের বেশি।আমেরিকায় এই ভয়ঙ্কর সংক্রমণের জেরে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০০-র বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিলে প্রাণ হারিয়েছে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ।
এই নিয়ে টানা ৯ দিন ভারতের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ১৮,০০০ এরও বেশি প্রত্যেক দিনের হিসেবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটস অব মেডিকেল সায়েন্সেসের ডিরেক্টর ড. রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন যে ভারতে কোভিড-১৯ এর চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শনিবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে রেকর্ড বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ২১২,২৩৬ টি নতুন সংক্রমণের কথা জানিয়েছে।
এদিন আগের সব রেকর্ড ভেঙে বাংলায় একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ল করোনা আক্রান্তের সখ্যা। রবিবার সন্ধেয় প্রকাশিত হওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৯৫ জন।
এই নিয়ে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২,১২৬ জন। এই মুহূর্তে বাংলায় আক্রান্ত রয়েছে ৬৬৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এর ফলে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৫৭।
এখনও পর্যন্ত ১৪,৭১১ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ হাজারেরও বেশি টেস্ট হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলায় ৭৯ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সরকারি ২৬ টি হাসপাতাল ও ৫৩ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৯৪৮টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৩৯৫টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷