লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে প্রতিদিন নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে চিন। এবার টি-১৫ নামক ন্যানো ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পাহাড়ি রাস্তায় ভারতের বিরুদ্ধে সুবিধা বজায় রাখতে চাইছে চিন। মোতায়েন হয়েছে এই ট্যাঙ্কগুলি।
পরিস্থিতি বুঝে পিছিয়ে নেই ভারতও। প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। চিনের টি-১৫ ট্যাঙ্কের মোকাবিলা করতে ভারতের টি-৯০ ট্যাঙ্কগুলিই যথেষ্ট। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও চিনের ট্যাঙ্কের তুলনা করা আসলে হাতি ও ইঁদুরের তুলনার সমান।
সূত্রের খবর, চিন পূর্ব লাদাখে এলএসি-তে ন্যানো ট্যাঙ্ক অর্থাৎ টি -15 মোতায়েন করেছে। মনে করা হচ্ছে চিন, ভারতের সঙ্গে অন্য সীমান্তগুলিতেও এই ট্যাঙ্ক মোতায়েন করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই ন্যানো ট্যাঙ্ক টি -১৫ কতটা শক্তিশালী তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। টি-১৫ ট্যাঙ্কটির ওজন ৩০ থেকে ৩৫ টন। এতে ১০৫ মিমি বন্দুক রয়েছে, যার কারণে এটি পার্বত্য অঞ্চলে সহজেই ব্যবহার করা যায়।
এর পালটা হিসেবে ভারতের কাছে রয়েছে টি-৭২ ও টি -৯০ এবং অর্জুন ট্যাঙ্ক, যারা কিনা যে কোনও ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতার সঙ্গে লড়াই করতে পারে।
চিনের টি-১৫ ট্যাঙ্কের জবাব ট্যাঙ্ক ছাড়াও অন্য অস্ত্রেও রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে আসা, এম-৭৭৭ বন্দুকটি ভারত অরুণাচল থেকে লাদাখ পর্যন্ত মোতায়েন করেছে। ভারত মোট ১৪৫ টি আলাদা আলাদা এম-৭৭৭ বন্দুক কিনেছে, যা কিনা আলাদা ৭ টি রেজিমেন্টে দেওয়া হয়েছে। এই বন্দুকের বন্দুকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল হেলিকপ্টার দিয়ে এটিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
চিনের কাছে আবার রয়েছে টি-৯৫ ট্যাঙ্ক। যা কিনা টি-৯০ এর চেয়ে কম ক্ষমতাসম্পন্ন বা একই ক্ষমতাসম্পন্ন। এমন পরিস্থিতিতে চিন যদি সীমান্তে আক্রমণাত্মক কাজ শুরু করে তবে, তবে টি -৯০ ট্যাংকই যোগ্য জবাব হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, চিন বিশেষ ধরণের ও হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করছে।