ভারতের মাটিতে দেখা হবে মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং-এর। দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী শহর মালাপ্পুরমে দেখা হবে তাঁদের। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে এক ১৫০০ বছরের পুরনো ইতিহাস, যার সঙ্গে যোগ রয়েছে চিনের। তাই চিনা প্রেসিডেন্টের আগমনে বিশেষ ভাবে সেজে উঠছে এই শহর।
মালাপ্পুরম হল UNESCO-র চিহ্নিত করা একটি হেরিটেজ শহর। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সমুদ্রের ধারের এই শহরটিকে। মোতায়েন করা হয়েছে অন্তত ৮০০০ পুলিশের বাহিনী। একাধিক স্তরে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে সাত স্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। গোটা শহর ঘিরে ফেলেছে পুলিশ আর বম্ব স্কোয়াড। রয়েছে কমান্ডো, অ্যান্টি টেরর কুইক আ্যাকশন টিম। এসপিজি ও চিনের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে।
সপ্তম শতকে ভারত-চিনের এক বিশেষ যোগের কথা লুকিয়ে আছে এই শহরে। সপ্তম শতকেই কাঞ্চিপুরমে এসেছিলেন চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং। মহাবলীপুরমের বন্দরে নামেন তিনি। তিনি পল্লব রাজাদের কথা ও বৌদ্ধধর্মের শিক্ষাকেন্দ্রের কথা লিখে গিয়েছেন। এক ঐতিহাসিক জানিয়েছেন, চোলা রাজা ও পল্লব রাজাদের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের উল্লেখ পাওয়া যায় ইতিহাসে।
কৃষ্ণা বাতার বলে একটি ঘাসের কার্পেট পাতা হয়েছে। সেখানে হাঁটতে হাঁটতে আলোচনা করবেন মোদী ও জিংপিং। চেন্নাইতে শুক্রবারই পৌঁছবেন জিংপিং। এরপর ৫৫ কিলোমিটার গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে মালাপ্পুরমে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাবেন মোদী।
বৈঠক শেষে সমুদ্র উপকূলের মন্দিরে যাবেন দু’জনে। সেখানে হয়ে দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন।
দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে কী কথা হয়, সেদিকেই তাকিয়ে বিশ্বের কূটনৈতিক মহল।