১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চলছে। ভারত ও চিন কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকে বসে লাদাখে। সীমান্ত সমস্যা মেটানো লক্ষ্য হলেও কোনও রকম আপোষে যেতে রাজী নয় নয়াদিল্লি। এদিনের বৈঠকে ভারতের একটাই বার্তা চিনা সেনাকে পিছু হঠতে হবে। কারণ বেশ কিছু বিতর্কিত এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেছে চিনা সেনা বলে সূত্রের খবর।
সোমবার সকাল নটায় শুরু হয় দুপক্ষের বৈঠক। চিনের মলডো ও ভারতের চুশুল সীমান্তে বৈঠক চলে। সূত্রের খবর ভারতের তরফে একটি বিষয়ের ওপরেই জোর দেওয়া হয়। তা হল চিনা সেনার বিতর্কিত অবস্থান। চিনা সেনা যতক্ষণ না নিজের বর্তমান জায়গা থেকে পিছু হঠছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা এক পাও নড়বে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে একই বক্তব্য রেখেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সোমবার ভারতের তরফে চিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। তিনি ভারতীয় সেনার লেহর ১৪ কর্পস কমান্ডার। এই প্রথম ভারত চিন সামরিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের একজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নবীন শ্রীবাস্তব। তিনি মূলত ভারত চিন কূটনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। তবে এবার সামরিক বৈঠকেও ছিলেন তিনি বলে খবর। উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন, যিনি পরের মাস থেকেই হরিন্দর সিংয়ের পদে আসবেন।
এদিকে, লাদাখে ছটি নতুন পাহাড়ি এলাকা দখল করল ভারত। গত ২০ দিনের মধ্যে এই সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় সেনা। চিনকে টেক্কা দিয়ে লাদাখে জয়জয়কার ভারতের। বেশ কয়েক মাস ধরেই এই পার্বত্য অঞ্চল দখলের চেষ্টায় ছিল চিন।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন ফিঙ্গার ফোর এলাকায় ছটি নতুন পার্বত্য অঞ্চলের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা। মাগার হিল, গুরুঙ্গ হিল, রেজাং লা, রেচাং লা, মোখপরী এবং ফিঙ্গার ফোরের সবথেকে বড় চূড়ার দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা বলে খবর।
সরকারি সূত্রের খবর প্যাংগং লেকের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পার্বত্য অঞ্চলে অসম সাহসিকতার প্রদর্শন করে এই এলাকাগুলির দখল নিয়েছে সেনা। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকার ওপর দখলদারি চালানোর চেষ্টা করেছিল চিন, যা সফল হতে দেয়নি ভারত।