সারা পৃথিবীতে এখন তিনটি ধারার লড়াই চলছে। আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন গ্রিকদের থেকে পাওয়া ইউরোপীয় সভ্যতা, চীনের মাটিতে উৎপন্ন কনফুসিয়ান দর্শনে মোড়া মার্কস ও মাওবাদ। আর সবচেয়ে নবীন যা আরব থেকে উৎপন্ন হয়ে বিশ্বাস হিসেবে অখ্যাতি অর্জন করেছে তা হচ্ছে ইসলাম। প্রোফেসর সামুয়েল হান্টিংনের সঙ্গে লেখক। এক মত হতে পারেননি। তার লেখা বিখ্যাত বই, ‘দ্য ফাইনাল ক্লাস অব সিভিলাইজেসক্স’-এ শুধু পাশ্চাত্য মানে খ্রিস্টীয় সভ্যতার সঙ্গে শুধু ইসলামের সংঘর্ষের কথাই বলা হয়েছে। কিন্তু হিন্দু বাঙ্গালি হিসাবে লেখকের মতে গত ১০০ বছরে ভারতের উপর চীনের প্রভাব, ভারত বিভাজন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সৃষ্টির কথা।ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির জন্মের সঙ্গেই সনাতন ধর্মের অবমাননা ও বিপদ-সংকেতের শুরু হয়। প্রো. হান্টিংটন আগ্রাসী কমিউনিজমের সঙ্গে সংঘর্ষের গুরুত্বটি কেন দিলেন না, জানি না!
ইউরোপ এখন সভ্যতার সংকটে দিন কাটাচ্ছে। ইদানীং সেখানে নানা ধরনের প্রবণতার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানের অবসান হয়েছে। শুধু ফুটবল, সংগীত-সম্মেলন আর সমুদ্রসৈকতে রৌদ্রস্নান। আর হয়েছে স্রোতের মতো অবাধ ইসলামিক অনুপ্রবেশ। সরকার বিয়ে করার জন্য, সন্তান উৎপাদন করার জন্য নানা ভাবে প্রোৎসাহনের ব্যবস্থা করছে কিন্তু তবুও জন্মহার একের বেশি হচ্ছে না। পরিসংখ্যানবিদরা বলেন, যে দেশে জন্মহার ১.৮ এর নীচে সে দেশে সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। প্রতিটি মুসলমান পরিবারে ৮-১০টা সন্তান। যাদের চারটা বিবি তাদের চল্লিশটা সন্তান। ইতিহাস প্রসিদ্ধ মুমতাজ ছিলেন শাজাহানের ৪নং বিবি। ১৪তম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়েই বেচারা মারা যান!
ইউরোপে সঞ্চয় বা মিতব্যয়িতা বলে কিছু নেই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না। শুধু বর্তমানের কথা চিন্তা করে। ভোগবাদ অবলম্বন করে জীবনযাত্রা নির্বাহ। লোকবল নেই বললেই চলে! সারা ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, প্রতিটি দেশেই প্রতিরক্ষা ও সৈন্যসামর্থ্য একেবারে তলানিতে। ইউরোপ নির্ভর করে আছে আমেরিকা আর সম্মিলিত ন্যাটোর শক্তির উপর। এখন শুনলে মোটেই অবাক হবেন না, পশ্চিমের সব দেশই চায় ট্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হোক ভারত। জাতিসঙ্ঘের শান্তিবাহিনীতে ভারতের সৈন্যশক্তিই সব থেকে বেশি। ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সুরক্ষাপরিষদে এখনও কিন্তু স্থায়ীপদ দেওয়া হয়নি। মোদীর প্রচেষ্টায় হয়তো এবার বহু কাম্য সুরক্ষা পরিষদের স্থায়ীপদটি পেয়ে যাবে ভারত। পশ্চিমের সাদাচামড়ার প্রভুরা চাইবে আমেরিকার স্বার্থ ও ইউরোপের সীমান্তরক্ষার দায়িত্বটি ভারতের শান্তিবাহিনী নিক ! ইসলামিক আগ্রাসনের হাত থেকে ইউরোপকে রক্ষা করতে হবে যে!
সম্ভবত আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা পাততাড়ি গোটাবে শীগগিরই। আর ভারতকে তালিবানের ধাক্কা সামলাতে হবে একাকী! চীন ও পাকিস্তানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তালিবান মধ্যএশিয়ায় সন্ত্রাসবাদকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। কন্সট্যান্টিনোপল বিজয় হয়ে গেছে, এখন বাকি আছে পোপের ভ্যাটিকান, ইজরায়েলের জেরুজালেম, আমেরিকার নিউইয়র্ক ও ভারতে গাজওয়া-ই-হিন্দ। তাহলেই সারাবিশ্বে ইসলামের শরিয়া আইন ও খলিফার শাসন চালু হয়ে যাবে। কোটি কোটি হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈনের সঙ্গে ইহুদিখ্রিস্টানদের পাইকারি হারে গণহত্যা করা হবে। মনে রাখবেন, ইরানের শিয়া বা আহমদিয়ারাও বাদ যাবেন না সুন্নি নামকওয়াহাবি, তৌহিদি ও সালফি’মুসলমানদের শুদ্ধ জেহাদের কোপ থেকে। আজকের লোভী সুবিধাবাদী বামবুদ্ধিজীবীরাও রেহাই পাবেন না। মধ্যযুগীয় ইসলামের কাছে বামপন্থা, সেকুলারিজম ও ডেমোক্রেসির কোনো মূল্যই নেই। ইসলামের শরিয়া আইনে সর্বপ্রথমে এই বুদ্ধিজীবীদের শেষ করা হবে। সমগ্র বিশ্ব তখন ‘আল্লা হো আকবর ধ্বনিতে ধরিত্রী কম্পিত হতে থাকবে!
একটা কথা স্মরণযোগ্য। ২০০০ সালে জার্মানির চান্সেলর সক্রোয়েডর ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞানে শিক্ষিত যুবকদের গ্রিনকার্ড দেওয়া শুরু করেন, কিন্তু কট্টরপন্থী পাদরি জোসেফ স্ট্রস হিন্দুধর্মের দ্বারা তাদের দেশের প্রভাবিত হওয়ার অশনি সংকেত দেখতে পান। যথারীতি তার নেতৃত্বে আন্দোলনও সফল হয় এবং ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের তৎক্ষণাৎ বিতাড়িত করা হয়। কিন্তু বিড়ম্বনা দেখুন, ২০১০ সালে চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাক থেকে অশিক্ষিত, কর্মহীন মুসলমানদের অবলীলায় গ্রিনকার্ড দিচ্ছেন। বছরে এক লক্ষ সিরিয়া ফেরত জেহাদির জার্মানিতে পুনর্বাসন। সরকারি পয়সায় থাকা খাওয়াদাওয়া মায় বাচ্চা উৎপাদন করার জন্য প্রোৎসাহন। এখন রিফিউজি মুসলমানরা জার্মান মেয়েদের বলাৎকার করছে দিনেদুপুরে! তারা হচ্ছে অনথিভুক্ত নাগরিক ! সেখানে দাড়িগোঁফ কামানো অনাথ কিশোরদের বয়স হচ্ছে মাত্র ২৫-৩০, ঠিক যেমনটি আমরা দেখি কাশ্মীরের পাথর নিক্ষেপকারী অবোধ বালকদেরকে! কী আশ্চর্য, দিল্লিতে মোহম্মদ আফরোজ নির্ভয়া কাণ্ডে নাবালকের প্রমাণপত্র জোগাড় করে ছাড়া পেয়ে যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সহায়তায় !
আরও আশ্চর্যের কথা, ৪০-৫০ বছর বয়সেও মুসলমানরা নাকি যুবকই থাকে। শতকরা ৫০ জনই হচ্ছেন কর্মহীন। আর এই সময়ে ইউরোপে বেকারত্ব চরমসীমায়। পৌঁছেছে। সরকার তাদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা আর মহার্ঘভাতা দিয়ে পুষছেন। সেই জন্যই কংগ্রেসের ইতালীয়ান সোনিয়া মাইনোর ছেলে রাহুল ৪৮ বছরে কিংবা করুণানিধির ছেলে এম. কে. স্ট্যালিন ৬৩ বছরেও যুবনেতা হয়ে দল চালাচ্ছেন। কেননা এঁরা সবাই ইউরোপীয় কিনা!
শিল্পবিপ্লবের দিন থেকেই ইউরোপে গত ৩০০ বছর ধরে খ্রিস্টধর্মের অবনতি ঘটে চলেছে। দিনদিন চার্চের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পোপ নিজে বলেছেন, ইউরোপে আবার খ্রিস্টধর্মের প্রসার করতে হবে। এর কারণ হলো খ্রিস্টধর্মের প্রতি আস্থাহীনতা, পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানের অধঃপতন, শিল্পবিপ্লবোত্তর সময়ে সামাজিক অবক্ষয়, সাম্য ও ভোগবাদ নামক বিষ, গর্ভনিরোধক প্রণালীর বিপ্লব ও ভ্রুণহত্যার সরকারি অনুমোদন। তাই ধর্মহীন মানুষ স্বেচ্ছায় গির্জাগুলি বিক্রি করে দিচ্ছে। গুজরাটের স্বামীনারায়ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ সে সব কিনে মন্দির করছেন। প্রতি রবিবার গির্জায় লোক পাওয়া যায় না। বিশাল ফঁকা হলঘরে সামনের সারিতে গুটিকয় অতি বৃদ্ধ-বৃদ্ধার আকুতি শোনা যায় আর আফ্রিকার কালোচামড়ার বিশপের ধর্মোপদেশ। সেই জন্য বোধহয় ভারতে সাদাচামড়ার শিষ্য-শিষ্যাদের ইসকন মন্দিরগুলিতে ভিড় দেখা যায়! আর নেপালের মতো হিন্দুরাষ্ট্রে বা পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার প্রত্যন্ত গ্রামে বা দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে সাদাচামড়ার পাদরিদের অসহনীয় উৎপাতের কথা প্রায়ই খবরের কাগজে উঠে আসে!
আজকের ইউরোপে আধুনিকতার নামে সনাতন সমাজের নৈতিকতাকে কুসংস্কার ও গোঁড়ামির ব্যাখ্যা দিয়ে বিবাহবিহীন সন্তান, সমলৈঙ্গিক বিবাহ, পাব-কালচার ও তথাকথিত সংস্কারমুক্ত উদারবাদী এবং বামপন্থীরা একে শুধু অনুমোদনই নয়, বরং পুরানো ঐতিহ্যবাদকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন এক যুগের সূচনা করতে চাইছেন। বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী জর্জ সোরসের মতো বহুলোকই এর সহায়ক ও সমর্থক। বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়, যখন দেখি এই বুদ্ধিজীবীর দল ইসলামের অন্ধ কুসংস্কার ও মধ্যযুগীয় গোঁড়ামিকে নির্দ্বিধায় মেনে নিচ্ছেন।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ায় এইসব বামপন্থীদের ইসলামিক জিহাদিরা প্রথমেই শেষ করে দিয়েছে। এই বামপন্থীদের কাজ হচ্ছে হিন্দুদের মধ্যে ইসলামের প্রসার প্রচারে সাহায্য করা। দুর্গাপূজার মণ্ডপে বা কালীপূজার প্যান্ডেলে সবাই দেখেছি বামপন্থী বঙ্গীয় বিজ্ঞানমঞ্চের লালশালুতে মোড়া মার্কসীয় সাহিত্যের স্টল। ইদ বা মহরমের সময় বা মসজিদের সামনে এরকম স্টল খোলার সাহস দেখাতে পারেন এই মাকুরা।
ইসলামের মূলমন্ত্রই হচ্ছে সারা বিশ্বকে তাদের শাসনের আওতায় আনা। আসমানি কিতাবে নাকি লেখা আছে ভারতকে গাজওয়া-ই-হিন্দ করা! ইসলামিক ইতিহাসের অসমাপ্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি আর কী! আজ লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ও স্বরাষ্ট্র সচিব জাভেদ সাজিদ কুখ্যাত মৌলভি আঞ্জেম চৌধুরীর সাহায্যে লন্ডনিস্তানকে করতে চায় ইউরোবিয়ার রাজধানী! মনে রাখবেন, স্পেন। মধ্যযুগে ৬০০ বছর আফ্রিকার মুসলমান মুরেদের অধীনে ছিল। বাকিংহ্যাম প্যালেসকে তারা মসজিদ করতে চাইছে। রানিকে ইসলাম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছে। আর কম খরচের জিহাদ সংগঠিত হচ্ছে বড়ো বড়ো বাসকে ভিড় রাস্তায় অসংখ্য নিরপরাধ পথচারীকে পিষে মেরে ফেলার মধ্যে দিয়ে। যেমনটি দেখা গেছে প্যারিসের রাস্তায়। আমেরিকার ৯/১১-এর ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আকাশচুম্বী দুই ইমারতকে নিমেষে উচ্চ শিক্ষিত সৌদি ও পাকিস্তানি পাইলটরা ধ্বংস করে দিয়েছিল। তাতে তিন হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়। আমাদের মতোই ইংল্যান্ডে টমি রবিনসন বা জায়দা ফ্রান্সেনরা মরিয়া হয়ে এই নরদানবের বিরুদ্ধে আপোশহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের ভয়েই নেদারল্যান্ডের গার্ট উইলডার্স। গত ১৭ বছর এবং সালমন রুশদি ৩৫ বছর জিহাদিদের ‘মৃত্যু পরওয়ানা’ থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই ভয়াবহ বিপদের কথা ইউরোপে হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ডের মতো দেশ বুঝতে পেরেছে। তাই মুসলমান। অনুপ্রবেশকে তীব্রভাবে প্রতিহত করছে। বর্মার মতো ক্ষুদ্র দেশ যা করতে পারছে, আমরা ভারতীয়রা কিন্তু রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে অপারগ হয়েছি। কারণ দেশদ্রোহীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা!
ইরাক, ইরান ও মিশরে মাত্র এক থেকে দুই দশকের মধ্যেই সার্থক ভাবে ইসলামিকরণ সম্পূর্ণ হয়! কিন্তু হাজার বছরের প্রতিনিয়ত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আজও ভারত তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পেরেছে। ভারতের কাছে আছে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধি, খনিজ, প্রাকৃতিক আর আধ্যাত্মিক সম্পদ। আছে দশ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা ও ঐতিহ্য, অসীম শৌর্য এবং অমিত বীর্য। হ্যা, ভারত পারবে জগৎসভায় আবার শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করতে। ইউরোপের ক্ষমতা নেই ইসলামের সঙ্গে একা যুদ্ধ করার। ইসলামের সঙ্গে আমেরিকার লড়াই করার ইচ্ছাশক্তির একান্তই অভাব। তারা চায়, ভারতই তাদের হয়ে করুক লড়াইটা। তাদের হয়ে ভারত যেমনটি গত দুই বিশ্বযুদ্ধে লড়েছে। ভারতের আছে ১.৩৫ বিলিয়ন জনসংখ্যা। বিরাট সৈন্যশক্তি ও সামরিক সামার্থ্য। চীনের সঙ্গে টক্কর দেবার ক্ষমতা আমেরিকা বা জাপানেরও নেই। আছে ভারতের। তাই ভারতকে প্রস্তুতি নিতে হবে উপযুক্ত লড়াইয়ের জন্য।
হ্যাঁ, ভারত পারে বিশ্বব্যাপী এই মহাসংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিতে, যদি ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ীপদ দেওয়া হয়। যদি পাকিস্তানের হাত থেকে গিলগিট ও পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অভিন্ন অঙ্গ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, যদি বালুচিস্তানকে স্বাধীন দেশ ঘোষণা করে, পাকিস্তানকে সিন্ধু, পঞ্জাব ও উত্তর পূর্ব পাখতুনিস্তানে বিভাজিত করতে পারে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর চীনের সঙ্গে সীমান্তরেখা সম্বন্ধীয় বিবাদের সমাধান করা যায়, তবে নিশ্চয় ভারত পশ্চিমের আরও একবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া নিতে প্রস্তুত হবে।
ডাঃ আর দাস
2019-07-06