কিছু বছর দেশে রক্ষামন্ত্রী একে.এন্তোনি বলেছিলেন- সেনার জন্য নতুন অস্ত্র কেনার যাবে না, কারণ অর্থ নেই। সৈনিকদের কাছে যা আছে সেটা দিয়েই কাজ চালাতে হবে। সেটা ছিল কংগ্রেস আমল। এখন সময় বদলে গেছে। মোদী যুগে সরকার সুরক্ষা বাজেট কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজকের দিনে বিশ্বের সবথেকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র হলো পারমাণবিক বোমা। আর যদি এই পারমাণবিক বোমা সাবমেরিনের মধ্যে থাকে তাহলে তো শত্রুর অবস্থা আরো খারাপ হবে। কারণ সাবমেরিন জলের নিচে থাকে। জলের নীচে থাকায় সাবমেরিন চট করে দেখা সম্ভব হয় না, তাই পারমাণবিক বোমা সম্পন্ন সাবমেরিন শত্রুর বিরুদ্ধে সবথেকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র।
পুলবামা হামলার পর মোদী পাকিস্থানের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করে দিয়েছিল। আর এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি যোগদান ভারতীয় এয়ার ফোর্সের নয়, বরং নৌসেনার ছিল। পুলবামা পর থেকে ভারত যুদ্ধ জাহাজগুলিকে পাকিস্থানের দিকে আরব সাগরের এলাকায় নিযুক্ত করে দিয়েছিল। যার জন্য পাকিস্থান সম্পূর্ণ চাপে ছিল, পাকিস্থানের বাণিজ্য শহর করাচি প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সন্ধ্যের পর থেকে করাচিতে ব্ল্যাক আউট জারি হয়ে যেত শুধুমাত্র ভারতীয় নৌসেনার ভয়েতে
এবার মোদী সরকার পাকিস্থানের দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা করার নির্ণয় করে ফেলেছে। যখন পাকিস্থানকে ভেঙে বাংলাদেশ করা হয়েছিল তখনও ভারত প্রায় দেড় বছর আগে থেকে পাকিস্থানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। এখন মোদী এসেও সেই কাজ করে দিয়েছে, এবার শুধুমাত্র সবকিছুর সুবন্দোবস্ত করা বাকি। বর্তমানে ভারতের কাছে ২ টি পারমাণবিক সাবমেরিন রয়েছে। যেগুলির হিন্দ মহাসাগর ও বে অফ বেঙ্গল নিযুক্ত রয়েছে। চীনের অতিক্রম আটকানোর জন্য এই দুই পারমানবিক সাবমেরিন ব্যাবহার করা হয়। এবার ভারত রাশিয়া থেকে অকুলা ক্লাসের ৩য় পারমাণবিক সাবমেরিন কিনছে যা পাকিস্থানের টুকরো করার লক্ষে ব্যাবহৃত করা হবে। সরকার পুরো যোজনা করে নিয়েছে এবং যোজনা দীর্ঘস্থায়ীভাবে সম্পন্ন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সাবমেরিনের জন্য ভারত সরকার রুশের সাথে ৩.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলারের চুক্তি করেছে। মোদী সরকার পারমাণবিক বোমা সম্পন্ন এই সাবমেরিন পাকিস্থানের করাচি বন্দর থেকে কিছু দূরেই নিযুক্ত করে দেবে। সরকার বিনা রক্তপাতে জিহাদী দেশ পাকিস্থানের স্থায়ী চিকিৎসা কররা পরিকল্পনা করেছে যার কাজ শীঘ্রই চালু হবে।