দুদিনের সফরে শুক্রবারেই বাংলাদেশে উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ওড়াকান্দিতে এক সভায় তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আজ দুই দেশই একসঙ্গে অত্যন্ত দৃঢ় ভাবে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মোদী বলেন, ভারতে তৈরি টিকা বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে পৌঁছানোকে দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করেই ভারত কাজ করছে।
আরও খবর পড়ুন – অব্যাহত করোনার চোখ রাঙানি, ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৬২ হাজার
এদিন ১২ টা ৩৯ মিনিটে ওড়াকান্দিতে পৌঁছান মোদী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান ধর্মগুরুরা। বেলা ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ মতুয়াবাদের হরিচাঁদ ঠাকুরের হরিমন্দিরে পূজা দেন তিনি। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গোপালঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদী। এরপর বঙ্গবন্ধু ভবনের পাশে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বেশ কিছু লোকের বইয়ে স্বাক্ষরও করেন মোদী।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান মোদী। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে তিনি আসেন টুঙ্গিপাড়ায়। সেখানে পুজো দেন ও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদী। এদিন বিকেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্বাক্ষর হতে পারে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন। মোদীর বাংলাদেশ আগমনের প্রথম দিনই বিক্ষোভ আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সংগঠন ও হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভে চট্টগ্রাম ও ঢাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শুক্রবারই। একাধিক বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। হেফাজতের ঘাঁটি চট্টগ্রামে দিনভর ছিল উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয় দফায় দফায়। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ।