পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে প্রার্থিত ফলাফল আসেনি ঠিকই। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতিকে নিজেদের সিলমোহর লাগানোর কর্মসূচি থেকে সরে আসছেন না নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকার। শীর্ষ সূত্রের খবর, বরং পরাজয়ে দমে না গিয়ে আগামী দিনে আরও বেশি করে বাংলার মনীষী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নিয়ে চর্চা এবং তাঁদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখা যাবে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। রামমোহন রায় এবং ঋষি অরবিন্দ, সত্যজিৎ রায়ের মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ, অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচির চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের ‘জাগৃত ভারত’ কর্মসূচির অধীনে রাজা রামমোহন রায়ের আড়াইশো বছরের জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে জাতীয় সম্মেলন, আঞ্চলিক কর্মসূচি, সমস্ত রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারগুলিতে ‘রামমোহন রায় নলেজ সেন্টার’ খোলা, ভারতের ইতিহাস, দর্শন, সমাজ, ধর্ম এবং বিজ্ঞানের গ্রন্থে সমৃদ্ধ তাঁর নামাঙ্কিত ই-লাইব্রেরি গঠনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
গত জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগেই, রামমোহনের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, রামমোহন শুধু দেশের আত্মসম্মানবোধই বাড়াননি, নারীদের মর্যাদার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন।
‘জাগৃত ভারত’-এর মাধ্যমে রামমোহন চর্চার পাশাপাশি ‘আধ্যাত্মিক ভারত’ কর্মসূচির অধীনে কেন্দ্র ঋষি অরবিন্দের একশো পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকী পালনের জন্যও উদ্যোগী হচ্ছে বলে মন্ত্রক সূত্রের খবর। সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রক ‘রচনাত্মক ভারত’ কর্মসূচির অধীনে ভারতীয় এবং বিশ্ব সিনেমার বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য বইয়ের ডিজিটাল সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য গ্রন্থাগারে সেগুলি সুলভ করার পরিকল্পনা করেছে।