রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশে তিরুপতি মন্দিরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। তিনি মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। মোদী যখন মন্দিরে ঢোকেন, তিনিও সঙ্গে ছিলেন। পরে বিজেপির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্ধ্রপ্রদেশের বিকাশের অনন্ত সম্ভাবনা আছে। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।
একইসঙ্গে মোদী বলেন, আমি আশা করি, জগন রেড্ডির নেতৃত্বে অন্ধ্র নানা বিষয়ে সাফল্য পাবে। সেইসঙ্গে বিজেপিও চেষ্টা করবে যাতে মানুষের কাছে প্রমাণ করা যায়, তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল মানুষের সেবা করা। তেলঙ্গানা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেই দাবি ওঠে, অন্ধ্রকে স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস দিতে হবে। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই দাবি পূরণ করা হবে। যদিও এখনও অন্ধ্র সেই স্ট্যাটাস পায়নি। মোদী রবিবার জগনকে ঢালাও আশ্বাস দেওয়ার পরে বহুদিনের দাবি পূরণ হতে পারে বলে অনেকে আশা করছেন।
এনডিএ সরকার অন্ধ্রকে বিশেষ মর্যাদা দেয়নি বলেই গত বছর ওই জোট থেকে বেরিয়ে আসেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। গত মাসে অন্ধ্রে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর তেলুগু দেশম পার্টি পরাজিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনেও মোটেই ভালো ফল করতে পারেনি।
জগন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস রাজ্যে ১৭৫ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পেয়েছে ১৫১ টি। রাজ্যে ২৫ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২ টি পেয়েছে জগনের দল। লোকসভায় এখন ওয়াই এস আর কংগ্রেস চতুর্থ বৃহত্তম দল। তার আগে আছে বিজেপি, কংগ্রেস ও ডিএমকে।
অন্ধ্রকে যদি কেন্দ্রীয় সরকার স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস দেয়, তাহলে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও দিতে হবে। অন্ধ্রের নতুন রাজধানী অমরাবতী শহরকে গড়ে তুলতে সেই অর্থ কাজে লাগবে।
ভোটে বিপুল জয়ের পরে জগন রেড্ডি মোদীর কাছে আর্জি জানান, অবিলম্বে অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হোক। ৩০ মে জগন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরে জগন বলেন, আমরা সব সময়ই স্পেশ্যাল স্ট্যাটাসের জন্য দাবি জানিয়ে যাব। ওই দাবি জানানোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে মোদীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি।
পরে জগনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। মোদী টুইট করেন, অন্ধ্রের উন্নয়ন নিয়ে জগনের সঙ্গে আমার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, আমাদের থেকে সবরকম সাহায্য পাবেন।