সবজি বাজার সরানোর নামে, শুক্রবার তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে কার্যত তাণ্ডব চলল বীরভূমের কীর্ণাহারে। ঝুড়ি নিয়ে ফুটপাতে বসে থাকা, দরীদ্র সবজি ও ফল ব্যবসায়ীদের ত্রিপলের ছাউনি ভেঙে, মিশিয়ে দেওয়া হল মাটিতে। পুলিশের সামনেই চলল দেদার লুঠপাট। যার জেরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষগুলো। সেই তাণ্ডব ও লুঠতরাজের ছবি তুলতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হন চিত্র-সাংবাদিকরাও। তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা এক চিত্র-সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূমের কীর্ণাহারে আমদপুর-কাটোয়া রাস্তার ধারে, নিকাশিনালার উপর অস্থায়ী সবজি বাজার বসে। মূলত গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মানুষ প্রতিদিনই ওই স্থানে দু-তিন ঘণ্টার জন্য অস্থায়ীভাবে বাজার বসায়, সেভাবেই তাদের সংসার চলে। শুক্রবার সকালে এই অস্থায়ী বাজার সরানো নিয়েই রীতিমতো ধুন্ধুমার বাধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃণমূল নেতা শিবরাম চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুন্ডাবাহিনী’ সেই বাজার ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা ওই প্রচুর সবজি ও ফল-ও লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন দরীদ্র ব্যবসায়ীরা। কান্নায় ভেঙে পড়া ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চোখের সামনেই তাদের অস্থায়ী ছাউনি একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সামনেই চলে এই চরম অরাজকতা।