আজ মহা অষ্টমী। তাই প্রথা মেনেই বেলুড় মঠে সকালে শুরু হয়েছে কুমারী পুজো। স্বামী বিবেকানন্দ এই কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় মহা অষ্টমীতে এখানে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু ভক্ত সমাগম হয়নি। কারণ করোনাভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তবে ভক্তদের জন্য লাইভে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ করা হয়েছে।
কুমারী পুজোর আদর্শ পরিবেশও তৈরি হয়েছে। হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে বঙ্গে। ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে। তার মধ্যেই শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। এবারের কুমারী শরণ্যা চক্রবর্তী। বয়স ৫ বছর। কোভিড–বিধি মেনে মাস্ক পরিয়েই তাকে মণ্ডপে আনা হয়। এবারের কুমারী ঊমা নামে পূজিত হচ্ছে। চিন্ময়ীরূপে আরাধনা, বেলুড়মঠের প্রাচীন রীতি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কেমন সতর্কতা নেওয়া হয়েছে? বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, কুমারী পুজোর জায়গায় ২০–২৫ জন সন্ন্যাসীর বেশি কেউ থাকবেন না। প্রত্যেকের আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। কোভিড–বিধি হিসাবে সরকার এবং কলকাতা হাইকোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। কুমারীর সঙ্গে আসা পরিবারবর্গের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তা দেখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর কলকাতার বাগবাজার সার্বজনীন পুজো কমিটিতেও কুমারী পুজো হচ্ছে। তবে একেবারে কম সংখ্যক পুরোহিত নিয়ে। কোনও ভিড় করতে দেওয়া হয়নি। দূরত্ব বিধি মেনেই পালিত হচ্ছে উপাচার। মাস্ক পরতে হয়েছে সবাইকে। সবদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে। কুমারীর সঙ্গে মা–বাবা এসেছেন, তাঁদের আরটিপিসিআর করানো হয়েছে।