করোনা ভয়াবহতার দ্বিতীয় বছর৷ অদৃশ্য শত্রুর ভার কমেনি, তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে চলছে প্রস্তুতি৷ আমরা যখন Lockdown ঘেরাটোপ থেকে বেরতে মরিয়া তখনও পিপিই কিটের বেড়াজালে নিজেকে আটকে রেখে সংক্রমণে আক্রান্তের নিরন্তর সেবা করে চলেছেন চিকিৎসক৷ এই অতিমারীতে তাঁরাই মানুষের কাছে একমাত্র ভরসা৷
চিকিৎসক মানুষের কাছে সাক্ষাৎ ঈশ্বর। জীবন যখন হাল ছেড়ে দেয় তখন হাসপাতালের দরজা ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না৷ সেখানেই রোগী ও তাঁর পরিবারকে আশার কথা শোনাতে পারেন একমাত্র তাঁরাই৷ এই বিপর্যয়ের দিনে তা আরও মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছেন সকলে৷
ভারতে প্রতি বছর ১ জুলাই জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors Day) পালন করা হয়। ১৯৯১ সালে ১ লা জুলাই প্রথম ডাঃ. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিনকে চিকিত্সক দিবস (Doctors Day) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী Dr BC Roy। একজন চিকিৎসক হিসাবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সেই কিংবদন্তী চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম এবং মৃত্যুদিনটি পালিত হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসাবে।
১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়। যাদবপুর টি.বি.হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, কমলা নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন (কলেজ), চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল এবং চিত্তরঞ্জন সেবা সদন (মহিলা ও শিশু বিভাগ)-র মতো হাসপাতাল তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে, তাঁকে ভারত উপমহাদেশের প্রথম মেডিক্যাল পরামর্শদাতা বলা হয়েছিল। বর্তমানে আমূল পরিবর্তন হয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের। অত্যাধুনিক পদ্ধতির চিকিৎসায় উপকৃত প্রত্যেকেই। আর এর পিছনে অবদান যাঁদের সেই চিকিৎসকদের শ্রদ্ধা জানাতেই মূলত পালিত হয় দিনটি।
Doctors Day প্রতিটি চিকিৎসকের কাছে একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর এই দিনটি উৎযাপিত হয় নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু এই বছরের পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। যদিও সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, তবুও এই দিন খোলা থাকবে আউটডোর, ইনডোর,জরুরি পরিষেবা। চলবে কোভিড, নন-কোভিড চিকিৎসা। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন কর্মস্থলে, যুদ্ধক্ষেত্রে। Covid-এর সঙ্গে লড়াই করা চিকিৎসকদের জন্য রইল ডক্টরস ডে’র শুভেচ্ছা।