আগেই মোদী সরকার জানিয়েছিল যে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আজ সংসদে ফের কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিল সঠিক সময়েই জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় লিখিত বিবৃতি দিয়ে রাজ্যসভায় বলেন, স্বর্গরাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলেই সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যসভায় সরকারকে প্রশ্ন করা হয় জম্মু-কাশ্মীরকে আবার কবে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে? সেই বিষয় কেন্দ্রে তরফে আদৌ কোন প্রস্তাব রয়েছে কি? একইসঙ্গে প্রশ্ন ছিল, সেখানে যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটা কবে প্রত্যাহার করা হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবেই সংবিধান সংশোধন করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দু’ভাগে ভাগ করে জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে। আর জম্মু-কাশ্মীরে ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার কথা মনে রেখেই। তিনি জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু বিধি নিষেধও ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গোটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং জম্মু-কাশ্মীর দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মোদী সরকার। সেই সময় সরকার জানিয়েছিল,ভবিষ্যতে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন উপযুক্ত সময় এলেই জম্মু-কাশ্মীর কে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।