ব্রিটিশ দের আপন ভেবেছিলো বলেই বাংলায় উন্নতি হয়েছিল।
বাঙালির আসলে কেহ বন্ধু নেই, শত্রুর শত্রু বাঙালির সাময়িক বন্ধু হয়। বামফ্রন্ট আমল মানে ১৯৭৭ সাল থেকে বাঙালি দেখে এসেছে। বাঙালি নেতারা নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নতি করার জন্য পুরো বাঙালি সমাজ কে অবাঙালি বিরোধী করে দিয়ে, ভিখারি ও ঋণী হয়ে সেই অবাঙালি দের রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে, সেই ঐতিহ্য এখনো চলছে। বাঙালি বামফ্রন্ট নেতাদের কাছে কংগ্রেস শত্রু ছিল, তৃণমূল এর জন্মকালে বিজেপি তৃণমূলের বন্ধু ছিল, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস শত্রু ছিল। এখন তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এর চরম শত্রু বিজেপি। নেতারা আমাদের কে বলে দেয় অমুক দল বাঙালির শত্রু – আমরা সেটা মেনে নিতে বাধ্য হই , প্রশ্ন না করে, কেন আমাদের শত্রু। ইন্ডিয়ান কোনো দলেই প্রকৃতপক্ষে কোনো বাক স্বাধীনতা বা গণতন্ত্র নেই। নেতারা না হয় স্বার্থের জন্য দলবদলু হয়ে ধর্ম ত্যাগ করতে পারে বার বার, জনগণ কিন্তু নেতা ও দলের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগে, কর্ম-কর্মক্ষমতা হারিয়ে, মদ আর এক টাকার চাল এর ভাত খেয়ে আধামরা হয়ে বেঁচে আছে , আর সারাদিন ভগবানের কাছে প্রাথনা করে, ওই এক টাকার চাল যেন কপাল থেকে না চলে যায়। আর রাজনৈতিক দল এর নেতারা সেই সুযোগ নিয়ে নিজেদের উন্নতি করে যাচ্ছে।
বাঙালির দিল্লি বিরোধিতার কি স্লোগান ছিল ১৯৭৭ থেকে? না দিল্লি বঞ্চনা করছে। কিসের বঞ্চনা? প্রাপ্য টাকা দেয়না। তখন দিল্লি তে কোন দল ক্ষমতায় ছিল? কংগ্রেস। যারা আজকের তৃণমূল ও বামফ্রন্টের বন্ধু। এখন এরা স্বপ্ন দেখছে বিজেপি কে সরিয়ে কংগ্রেস কে ক্ষমতায় এনে বঞ্চনা দূর করবে। সেটা কি করে সম্ভব? দিল্লি কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় টাকা ভাগ করে। কেহই বঞ্চিত হবার সুযোগ নেই। অনেক সময় খরচের হিসাব সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে দেয়না, টাকা আটকে যায়। বাজেট বর্ষ শেষ হয়ে যায়, টাকা আর পাওয়া যায়না। বাঙালি রা হিসাব করতে বা দিতে জানে কি? না। বুক কিপিং নিয়মিত হলে, দুর্নীতির সুযোগ নেই । আর টাকার সব হিসাব দিতে হলে, দুর্নীতি হয়না, আর সমাজকে সরকার দলের পক্ষেও আনা যায়না, কারণ বড় থেকে ছোট কোনো নেতাই রাজনীতি করে তখন টাকা আয় করতে পারেনা। কাজেই কংগ্রেস বা স্বার্থপর আঞ্চলিক দলের স্যালাড দল ক্ষমতায় এলে, ভাগ একই ভাবে হবে, তখন বাংলা আরও কম পাবে। কারণ উন্নত রাজ্য গুলোর নেতাদের ও ইন্ডাস্ট্রি লবির দিল্লিতে ক্ষমতা বাড়বে, নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের ইন্ডিয়াকে এক রাখার কোনো দায় নেই। তারা জাতীয় দল নয়।
কিন্তু যে রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকার গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে চলেছে, যে রাজ্য ইন্ডাস্ট্রি তে আত্মনির্ভশীল হতে চেষ্টা করেছে, নিজের রাজ্যের উন্নতির কথা ভেবেছে, কর্মই ধর্ম , ফাঁকিবাজি মানেই অধর্ম -সেটা মনে প্রাণে মানতো , সেই রাজ্যে সরকারি বেসরকারি পুঁজি গেছে ও সেই রাজ্যের উন্নতি হয়েছে। বাংলা থেকে পুঁজি সরিয়ে বাঙালি অবাঙালিরা অন্য রাজ্যে নিয়ে গেছে , তাতে বাংলায় বেকার ও অভাব বেড়েছে, ট্যাক্স আয় কমেছে, ঋণ ও ভিক্ষাবৃত্তি বেড়েছে ও নীতিবোধ রসাতলে গেছে। বাঙালি সরকারি দলের নেতাদের তাতে লাভ হয়েছে, কারণ দুর্নীতির সুযোগ বেড়েছে। আর অন্য দিকে আমাদের বঞ্চিত করছে, সেই স্লোগান এর তীব্রতা বেড়েছে। বামফ্রন্ট আমল থেকে জনগণ কে মদ খেতে উৎসাহ দিয়ে, মদ বিক্রি ও ট্যাক্স আয় বাড়িয়ে, বাঙালি কে মাতাল বানিয়ে সরকার চলছে। ধর্মীয় কারণে মুসলিম সমাজে এখনো মাতালের সংখ্যা খুব কম। হিন্দুদের সমাজ বলে কিছু নেই, হিন্দুরা সরকারি দলের সমাজের মেম্বার ভাবে, তাই এদের ধমক দিয়ে মদ বন্ধ করার কেহ নেই। পূজার চাঁদার টাকায় মদ খেয়ে সরকার এর ট্যাক্স বাড়িয়ে জনসেবা করার সুভাগ্য অর্জন করতে, বাঙালি তৃপ্তি পায়।
দক্ষিণের রাজ্য গুলোর উন্নতি হলো কি করে? তারা তো সব সময় হিন্দি, কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী। তাদের উন্নতির কারণ হলো, তারা আঞ্চলিক দল বানিয়েছে নিজের রাজ্যের উন্নতির জন্য। আর বাঙালি দল বানিয়েছে, বিশ্বে কম্যুনিজম আনার জন্য বা দিল্লিতে সব আঞ্চলিক দল দের এক করে, বাঙালি দলের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ইন্ডিয়ার র উপর বাঙালির আধিপত্য বিস্তার করতে, যেমন ব্রিটিশ আমলে ছিল বাঙালির আধিপত্য ছিল। ইন্ডাস্ট্রি কোনো দলকে পিছন থেকে সাহায্য করে- ক্ষমতায় আসতে। বাঙালির চপ শিল্পপতিরা কি টাটা বিড়লা আদানি প্রেমজি …….শিল্পপতিদের সাথে বিদ্যা বুদ্ধি ও টাকায় পারবে? অবাঙালি শিল্পপতিরা কেন বাঙালি কে ক্ষমতায় আনবে? কাঁকড়া টাইপের বাঙালি কে, সম্মান দিয়ে চপ মুড়ি চা বা গোস্তের বিরিয়ানি ও মদ দিয়ে হাত করে, আন্দোলন করিয়ে ইন্ডাস্ট্রি বিরোধী দলকে ক্ষমতা চ্যুত করতে কাজে লাগাবে বা সরকার কে চাপে রেখে ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নেবে।
আঞ্চলিক দল গুলো নিজের রাজ্যের স্বার্থ দেখার জন্য সৃষ্টি। সেই আঞ্চলিক দলের জোট কেন বাঙালির স্বার্থ দেখবে? আমার তো মনে হয়, ইউনাইটেড-ইন্ডিয়া বিরোধী শক্তি অনাদি কাল থেকে ইনভেস্ট করছে, আঞ্চলিক দল সৃষ্টিতে সহযোগিতা করে। তারাই ইনভেস্ট করছে আঞ্চলিক দল কে ক্ষমতায় আনতে, যাতে ইন্ডিয়া ভেঙে টুকরা হয়। আঞ্চলিক দল সৃষ্টির জন্য মূল দায়ী জনাব নেহেরু কংগ্রেস-রাজ্-বংশের এর নীতি। যেহেতু নেহেরু বংশ জাতীয় ও গণতন্ত্রের স্বার্থে অন্য কোনো জাতীয় দল কে উঠতে দেয়নি, বলেই বাঙালির জাতীয় দল জনসঙ্ঘ বিনাশ হতে চলছিল। নেহেরু বংশ কংগ্রেস দল কে নিজের বংশের কন্ট্রোলে রেখে গেছে বলেই, ওই দলে কোনো বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নেই বা ছিলোনা বলেই, এতো আঞ্চলিক দল! ম্যাক্স আঞ্চলিক দলগুলো কংগ্রেস বংশ ´ভেঙে সৃষ্টি। আর কংগ্রেস-বংশের উপদল গুলোতে বংশতন্ত্র বিরাজ করছে। এই বংশতান্ত্রিক দল গুলো নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে একদিন দেশভাগ করে ফেলবে। বিজেপিতে বাক স্বাধীনতা খুব কমে হলেও, এখনো বংশতান্ত্রিক দল হবার উপক্রম হয়নি। বিজেপি র আমলে এখন পর্যন্ত কোনো আঞ্চলিক দল এর সৃষ্টি হয়নি। দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য রাখার জন্য একাধিক জাতীয় দলের দরকার। কম করে ২ টা বড় ও ২ টা ছোট জাতীয় দল। আঞ্চলিক দলের জোট কখনোই বিকল্প জাতীয় দল হয়না, এই জোট হবে হয় দেশ ভাঙার জোট।
ধনীরা গরিব কে কেন দেবে? ভারতের ধনী রাজ্য গুলোর বাংলাকে কি আর দরকার আছে? জাতীয় রাজনীতিতে অর্থনীতি তে বাংলার অবদান কি? বাংলার এমন কি প্রোডাক্ট আছে, যা অন্য রাজ্যে না পেলে খুব বিপদে পরবে? কিন্তু বাংলা সব দিক থেকে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভশীল। কেন্দ্রীয় সরকার এর আর্থিক ও সামরিক সাহায্য ছাড়া বাংলা ১ মাস ও টিকে থাকতে বা স্বাধীন থাকতে পারে কি? বাঙালির দল গুলোর উচিত ছিলোনা কি বা বাঙালি ভোটার দের দায়িত্ব ছিলোনা কি, বাংলার উন্নতির জন্য, কেন্দ্রীয় দল কে বাংলায় ক্ষমতায় বসানো? যার থেকে পাবার আছে, তাকে দিন রাত অপমান করলে সে কি আমার স্বার্থের কথা ভাববে? বাংলদেশের রাজনীতিতে জনগণ ও দল গুলো ফ্লেক্সিবেল। কোনো দল ইন্ডাস্ট্রি বিরোধী কাজ করেনা।
বিজেপি ক্ষমতায় না থাকলে বাঙালির খুব বিপদ। বাঙালির অস্তিত্ব থাকবেনা। তৃণমূল এর ক্ষমতার লোভের জন্য এক সময় ইন্ডিয়ার বোঝা অযোগ্য বাংলাকে ইন্ডিয়া থেকে আলাদা আলাদা করে দিলে, বাঙালি মরবে না, কিন্তু বাঙালি তার সাবেকি ধর্ম হিন্দুত্ব ও ঐতিহ্য হারিয়ে, লাথি খেয়ে বেঁচে থাকবে বংশ পরম্পরায়। খেয়াল করলে দেখবেন, বেশ্যা বাড়িতে উদ্বাস্তু মেয়েদের বেশি দেখা যায় বা অপরাধ জগতে বাংলায় উদ্বাস্তু সন্তান দের প্রধান্য বেশি, হিন্দু উদ্বাস্তু হোক কি উর্দু ভাষী উদ্বাস্তু হোক। নব্য (নও) মুসলিম খ্রিস্টান রা নিজেদের মুসলিম খ্রিস্টান এর প্রতি বিশ্বাস প্রমান করার জন্য উগ্র হতে বাধ্য হয় বিশ্বাস অর্জনের জন্য, জিহাদের কাজে লাগে। আদি তৃণমূলী বা আদি বামপন্থী রা অত্যাচার করেনি, কারণ তারা আদর্শের জন্য দল করতো, নব্য বামপন্থী বা নব্য তৃণমূলী রাই বেশি অত্যাচার করে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আদি বিজেপি রা তেমন অত্যাচার বা চুরি করবেন, চুরি ও অত্যাচার করবে, নব্য বিজেপি রা।
যদি বিরোধীরা সব আঞ্চলিক দল বিলুপ্ত ঘোষণা করে, একটা সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক দল নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে গড়তো , যেখানে কোনো রাজতন্ত্র বা বংশতন্ত্র থাকবেনা,, দেশের উন্নতি হবার সুযোগ ছিল। কিন্তু তেমন দল হলে বাঙালির কোনো নেতার ঠাঁই হবে কি? কেজরীলাল ও তার দল দেশের জন্য ক্ষতিকর। ঋণ করে সাবসিডি দিয়ে, মিথ্যা প্রচার করে এরা ভোটার বাড়ায় ও ক্ষমতায় থাকে। এই ঋণ শোধ কে করবে? আয় বাড়িয়ে, দেশের মূল সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার কোনো এজেন্ডা নেই। বাংলাদেশ ও হাসিনা কে দেখে ইন্ডিয়ান দলগুলো শিখতে পারে।
কম্পিউটার, রোবট টেকনোলজি, তেমনি অনলাইন বিপণন তেমনি চীনের যন্ত্র-নির্ভর সস্তার একছত্র উৎপাদন, বিশ্ব কে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ এর মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ইন্ডিয়া ও বাঙালির দরকার ছিল, যৌথ ভাবে এক হয়ে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা। মডার্ন টেকনোলজি দিয়ে উৎপাদন বাড়ানো। মডার্ন টেকনোলজি দিয়ে কম মূল্যে কৃষি উৎপাদন করতে ১০% কৃষি শ্রমিক এরও দরকার হয়না, দরকার দামি দামি ভারী কৃষি যন্ত্র ও সেই যন্ত্র বানাবার ও প্রোগ্রাম করার তেমনি সারাবার কিছু উচ্চ শিক্ষিত কর্মী। আজকাল ঘরে বসে আমেরিকার কৃষক যন্ত্রকে প্রোগ্রাম করে দেয়, যন্ত্র নিজে থেকে জমিতে গিয়ে চাষ করে, বীজ বোনে, ও ফসল কাটে দিন রাত ২৪ ঘন্টা। গড়ে ১০০ একর জমির জন্য দরকার ২ জন কৃষক ও ২ জন মেকাট্রনিক্স কর্মী ও গুদামে কিছু রোবট। এদের উৎপাদিত ফসল সস্তা বলে আফ্রিকান রা নিজেদের চাষের প্রোডাক্ট আর কেনেনা। আফ্রিকান কৃষক চাষ বন্ধ করে দেয়, আর সেই জমি চীন কিনে নিয়ে মডার্ন টেকনোলজি দিয়ে চাষ করে। ইন্ডিয়াতেও সেই দিন আসবে, যদি ইন্ডিয়া নিজেদের কে চীনের চেয়ে উন্নত না করে।
মূল সমস্যা জন্মহার বৃদ্ধি। কম করে এক মহিলা এক সন্তান নীতি র আইন করে, তা কঠোর ভাবে পালন করা দরকার। আর সেই জন্য জনগণের সব ডেটা সরকার এর ঘরে থাকা ও নিয়মিত আপডেট করার ব্যবস্থা দরকার। যে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর আছে ও আগামী ২০ বছর স্বনির্ভর থাকবে, সেই প্রমান দিয়ে, সে সাবসিডি নেবেনা ও সরকারি কাজ পাবেনা এই বন্ড দিয়ে, ২ সন্তান নিতেই পারে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে। আর তৃতীয় সন্তান নিতে চাইলে সরকারি কোষাগারে কয়েক কোটি দান করুক , যা দিয়ে ১০ জন গরিব সন্তান কে মানুষ করা যায়। অনেকেই বলবে দেশে পুরুষ সন্তান ভরে যাবে। তার সমাধান আছে। আর্থিক ভাবে যাতে সন্তানের উপর নির্ভশীল না হতে হয়, মানে এক এক সন্তানের মা বাবার বুড়ো বয়সে পেনশন পায়, অনাহারে না থাকে, তার জন্য সরকার এই সব ফ্যামিলির জন্য আলাদা ফান্ডে টাকা জমা রাখবে। বাবা মা কে বুঝিয়ে উৎসাহ দেয়া , যেন সমাজে যৌথ পরিবার বানিয়ে নিজেদের মধ্যে বাঁচে। আইন করা দরকার, অন্তত বৃদ্ধবয়সে পাত্র পাত্রীর পরিবার কে নিয়ে একত্রে বাঁচতে হবে। তারপরেও প্রশ্ন আসবে বংশ রক্ষার, অর্থাৎ বিয়ের পর কে কার ফ্যামিলি নাম নেবে, সন্তান মায়ের না বাবার ফ্যামিলি নামে বড় হবে? সেটা বিয়ের সময় লটারি করে সিলেক্ট করুক বা বর্তমান বংশের সবাইকে নিয়ে, আলাদা থেকেও , এক বৃহৎ যৌথ পরিবার বানিয়ে কিছু নীতির দায়িত্ব কর্তব্যের ভিত্তিতে, নিজের না হলেও পূর্ব পুরুষের বংশের নাম টিকিয়ে রাখুক। আর সরকার শহীদ মিনার বানাক, পুত্র সন্তান বা সন্তান হীন অবস্থায় মরে গেলেও, আগামী ২০০ বছর, সরকারি টাকায় তাদের মৃত্যু দিনে বা মহালয়ার দিন বা যে ধর্মের নাগরিক , সেই ধর্মের নির্দির্ষ্ট দিনে ,তাদের প্রতি ধর্মীয় দায়িত্ব পালন হোক। এদের সম্পত্তির একটা অংশ দেবোত্তর বা ওয়াকফ বোর্ডে যাক, যা দিয়ে এদের নামে সামাজিক কাজ হবে। এদের প্রত্যেকের নাম ও বংশ পরিচয় পাড়ায় পাড়ায় শহীদ মিনারে লেখা থাকবে। আরও নানা প্রকল্প থাকবে। সেই শহীদ মিনার হবে আমাদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান।
দরকার শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। কম পক্ষে ১-১২ ক্লাস পর্যন্ত এডুকেশন ফ্রি করা, দ্বিভাষী শিক্ষা ( মাতৃ ভাষা ও ইংলিশ) চালু করা প্রথম শ্রেণী থেকে। ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সঠিক শিক্ষা পেলে, সহজেই যে কোনো বাচ্চা যে কোনো বিদেশী ভাষা বুঝতে লিখতে বলতে পারে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কাস্ট বা রাজনীতি বা ধর্ম বা লিঙ্গ বিচার নয় নয়, যোগ্যরাই টিচার হোক । সেই জন্য টিচার এডুকেশন এর জন্য মডার্ন আলাদা ইউনিভার্সিটি দরকার- ১২ ক্লাস পাশ করে যোগ্যতার বিচারে সেখানে ভর্তি হবে । ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর ইউরোপ স্কুলের আদলে। ২ ভাষায় পড়ানো হবে প্রতি বছর অদল বদল করে ক্লাস টেন পর্যন্ত, যাতে ২ ভাষার টার্মস গুলো শেখে। তেমনি ক্লাস সেভেন থেকে তৃতীয় একটা ভারতীয় ভাষা কম করে ৩ বছর শিখতে হবে, তেমনি সেই শিক্ষা শেষ হলে, ১১ ক্লাস থেকে আরও একটা বিদেশী ভাষা শিখতে হবে, সে আরবি হোক কি ম্যান্ডারিন কি জার্মান কি স্প্যানিশ ..। ক্লাস ৮ থেকেই কর্মমুখী বিষয় চালু হবে, যাতে ক্লাস টেন পাশ করলেই ৫০% স্টুডেন্ট ফ্রি কর্মমুখী শিক্ষার স্কুলে ভর্তি হয়, ১২ ক্লাস পাশ করলে বাকি অর্ধেক ফ্রি কর্ম মুখী শিক্ষায় যাবে। বাকিরা ইন্ডাস্ট্রি র চাহিদা অনুযায়ী বিষয় পছন্দ করে উচ্চ শিক্ষা নেবে। ইন্ডাস্ট্রি কে শিক্ষার সাথে যুক্ত করতে হবে, যাতে জাতি প্রাকটিক্যাল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়, ইন্ডাস্ট্রি র সাথে যৌথ ভাবে রিসার্চ ও উৎপাদন করে। MA পাশ করে আবার ৫ বছর প্রাকটিক্যাল শিক্ষা নিয়ে নিজেকে যেন চাহিদা অনুযায়ী বাজারি কর্মী তৈরী করতে না হয়। সব ধরণের ধর্মীয় স্কুল নিষিদ্ধ হবে ও স্কুলেই কম করে ৫ বছর প্রত্যেক ছাত্র ধর্ম শিক্ষার সুযোগ পাবে তেমনি যা ক্লাস পাশ করলে ধর্মীয় এডুকেশন কলেজেই দেয়া হবে ধর্মীয় এক্সপার্ট হতে, যারা নিজের ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্ম, আইন, কম্পিউটার, অর্থনীতি, আয়ুর্বেদ, মনোবিদ্যা ও শিখবে।
আর দেশের এক প্রান্তের সাথে অন্য প্রান্তের সম্পর্ক বাড়াতে, অষ্টম শ্রেণী থেকে প্রত্যেক ছেলেমেয়েরা কম করে একবার , যে যে রাজ্যের ভাষা শেখে, সেই রাজ্যের কোনো পার্টনার ফ্যামিলি র কোনো স্টুডেন্ট দের বাড়ি ১৫ দিন থেকে থেকে আসবে ও সেই সাথে তার স্কুলে ক্লাস করবে, সেই রাজ্যের সংস্কৃতি ভাষা খাদ্য প্রকৃতি সমন্ধে জানার জন্য। প্রত্যেক রাজ্যে কম করে অন্য রাজ্যের ভাষার ২ টা করে হোস্টেল সহ স্কুল দরকার। স্কুল গুলোর নাম হতে পারে ভারত-রাজ্য স্কুল। যেমন অন্য প্রত্যেক রাজ্যে কম করে ২ টা ভারত-বাংলা স্কুল থাকবে ১-১২ ক্লাস পর্যন্ত। যে বাঙালি কর্নাটকে কাজ করে, সে চাইলে কর্ণাটকের ভারত-বাংলা স্কুলে ভর্তি করবে , যাতে বাংলা ও শেখে, আবার কানাড়া ভাষাও শেখে। আর সব ইন্ডিয়ান কে দেবনাগরী ভাষায় পড়তে পাড়ার শিক্ষা কম করে এক বছরের দেয়া দরকার।
শিক্ষা মুখস্ত বিদ্যা মুখী আর হবেনা। প্রাকটিক্যাল ধর্মী হবে । যাতে ছাত্ররা শিক্ষার মধ্যে ঢুকতে পারে। ক্যালকুলাস এ আমি ১০০% মার্ক্স্ পেয়েছি, কিন্তু কোন কাজে ক্যালকুলাস ব্যবহার হয়, সেই শিক্ষা ১২ ক্লাসে পাইনি। অডিও ভিডিও অ্যানিমেশন সিস্টেমে সিলেবাস কে ধারণ করে সবার জন্য ইউটিবে সহজলোভ্য করতে হবে, যাতে টুইশন মাস্টার এর দরকার না হয়। পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টানো হোক ।যেমন পাটিগণিত ৩০ মার্ক্স্ এর একটা প্রশ্ন থাকবে, কিন্তু সংখ্যা গুলো আলাদা থাকবে। উদাহরণ: বাড়িতে মোট ৪০০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক যন্ত্র চলে। ডেইলি দিনে ৩ ঘন্টা ও রাতে ৫ ঘন্টা গড়ে সে গুলো চলে, মোট কত কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ
, দিনে রাতে ও মাসে। প্রথম ২০০ KW খরচ এর জন্য ৭ টাকা/KW , পরের ৩০০ KW এর মূল্য ৯ টাকা / KW লাগে। এবার যদি বাড়িতে ৫ কিলো watt এর সোলার মডিউল লাগায় , তার খরচ কত হবে, যদি প্রতি KW মডিউল এর দাম X টাকা হয় ? সরকার x টাকা ভর্তুকি দেবে। বাকি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে, ৮% সুদ দিলে মোট কত সুদ দিতে হবে, মাসে কত খরচ বাঁচবে , কয় বছর পর ঋণ মুক্ত হবে? কয় বছর পর ব্রেক ইভেন হবে? কত পরিমান কার্বন ডাই অক্সাইড কম নির্গত হবে? এই রকম জাতীয় অংক। আর সংখ্যা গুলো আলাদা করে দিলে নকল করে পাশ করার সুযোগ কমবে।
আর দরকার সবার জন্য মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স। আয়ের একটা অংশ কম করে নির্দিষ্ট একটা টাকা, আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী স্ল্যাব করে, সবাইকে মাসে মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স ফান্ডে দিতে হবে, প্রত্যেক জিলায় কম করে ২ টা করে বড় সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থাকা দরকার। যারা সেখানে ফ্রি তে পড়বে , তাদের কে কম করে ২৫ বছর সরকারি বেতনে কাজ করতে হবে। তার পূর্বে ছেড়ে দিলে সুদ সহ জরিমানা দিয়ে NOC নিতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল নিজেদের খরচে মেডিক্যাল কলেজ খুলে নিজেদের চাহিদা পূরণ করুক। আমি প্রেফার করি, সবাইকেই মৃত্যুর পর আইনত অর্গান দান করতে হবে, যাতে দেশের চাহিদা মেটার পরেও বিদেশিরা এসে আমাদের দেশে চিকিসতা সার্ভিস নিতে পারে, তাতে অনেক জব হবে, তেমনি গবেষণায় উন্নত হবে। যারা অর্গান দান করবেনা, তারা ফ্রি চিকিৎসা পাবেনা। প্রত্যেক নাগরিক কে বাড়ি ঘর ব্যবসা ও জীবন এর নিরাপত্তার জন্য যে যার সাধ্যমত ইন্সুরেন্স করতে বাধ্য ও পারে, সেই সিস্টেম চালু করুক সরকার। যাতে ক্ষতি হলে বার বার জনগণের টাকা দিতে না হয়। আর দুর্নীতি না হয়। নো বিল নো পেমেন্ট সিস্টেম চালু হোক। ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার নিয়ম ৫০০০ এর বেশি হলেই চালু হোক। গরিব দের ফ্রি করে বাকি দের জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্ট ভাড়া সিস্টেম চালু করে, বাকি সব পরিষেবা যেমন টাকা তোলা ফ্রি হোক। বাধ্যতা মূলক মাতৃ ভাষায় ইনকাম ট্যাক্স নিয়ম চালু হোক সবার জন্য। আর যাতে নিজে করতে পারে, তার জন্য দরকার ফ্রি ভিডিও লার্নিং সিস্টেম।
উচ্চ শিক্ষা তাদের জন্য ফ্রি হবে, যারা সেখান থেকে পাশ করে সরকারি কাজ করবে।
শিক্ষার মান খুব উন্নত করা দরকার, যাতে বিশ্বে আমরা শিক্ষিত ব্যক্তি এক্সপোর্ট করতে পারি , আমরা দেশে ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট বানাতে পারি ও আমাদের দেশে ইনভেস্ট আসে এই জ্ঞানী লোকের জন্য। জার্মানি র কর্মী খরচ বেশি, কিন্তু যোগ্য কর্মী থাকায়, সরকার ইন্ডাস্ট্রি বান্ধব বলে, শ্রম ও পরিবেশ আইন কড়া হলেও, সবাই জার্মানি তে ইনভেস্ট করে। ইন্ডিয়া তে করতে কেহ চায়না, আর বাংলায় পাগল না হলে কেহ প্রোডাকশন ইনভেস্ট করেনা।
আর জনগণের শিক্ষা চিকিৎসা খরচ যদি কমেই যায়, সরকারি বেতন ও কমে যাবে। ভারতের জিডিপি র তুলনায় সরকারি বেতন অনেক গুন্ বেশি। কিন্তু কোয়ালিটি খুব খারাপ। সরকারি বেতন ৫০% করে দেয়া উচিত।
ইউরোপে ধর্ম ট্যাক্স দেবার ভয়ে, অনেকেই আর চার্চের সদস্য থাকেনা।তারা কিন্তু যীশু কে নিন্দা করে নিজেদের এথেয়িস্ট প্রমান করেনা। এতো দেব দেবীর আরাধনায় খরচ কমিয়ে, সেই টাকা দিয়ে সামাজিক কাজের, শিক্ষার উন্নয়ন শুরু করুক। খ্রিস্টান দের থেকে শিখুক, কিভাবে oraganised হতে হয়। হিন্দু ধর্মের নানা নিয়ম কানুনের পিছনে কোনো বিজ্ঞান মনোবিদ্যা না unity বাড়াবার প্রথা আছে কিনা, থাকলে কি- সেটা সহজ প্রোডাকশন ভাষায় সবাইকে জানাক হিন্দুরা। তেমনি মাতৃ ভাষায়, সহজ গদ্যে সব ধর্ম পুস্তকের সংস্করণ দরকার। সংস্কৃত ঘেঁষা বাংলা অনুবাদ পড়ে, তা বোঝার জ্ঞান ০.১% বাঙালির ও আছে কি? আর পুরোহিতগিরি (পুর মানে নগরের হিত করা) হলো একটা কাজ, যে হিন্দু কলেজে সেই কাজ সঠিক ভাবে শিখবে, তার সেই কাজ করার অধিকার থাকবে। ব্রাম্মন মানে বিশ্ব ব্রম্মান্ড সমন্ধে জ্ঞানী – জ্ঞান অর্জন করে ব্রাম্মন উপাধি পাবার সুযোগ ও অধিকার তো এখন সবার, একজন খ্রিস্টান বা মুসলিম ও এখন চাইলে জ্ঞান অর্জন করে ব্রাম্মন হতে পারে । শিক্ষা ও পেশা এখন পরিবার কেন্দ্রিক নয়, তাই কাস্ট এর ও কোনো গুরুত্ব নেই। যোগ্য ব্যক্তি কে যোগ্য কাজ দেয়া উচিত- কাস্ট ধর্ম লিঙ্গ বিচার না করে। শিক্ষা ধনী ও গরিবের সকলের আওতায় আনা হোক! যে গরিব রা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে ও পরে কাজের সুযোগ আছে তাদের কে বিনা সুদে এডুকেশন লোন দেয়া হোক, মমতার , কন্যাশ্রী , বিয়ে শ্রী, টুইশন পড়ার জন্য ক্রেডিট কার্ড সিস্টেমে সমাজের কোনো লাভ হবেনা, দুর্নীতি বাড়বে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে মডার্ন নিয়মে প্রচুর পুরুষ হরমোন ও এন্টিবায়োটিক দিয়ে এক কিলো বিফ চাষ করতে কম করে ১৫ কিলো শস্য ও ২৫০০০ লিটার জল লাগে। চাষ করা মাংস খেলে শরীরে পুরুষ হরমোনের লেভেল বাড়ে, শরীর এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্ট হয়, ও শরীরের বন্ধু ব্যাকটেরিয়া, যা প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে ২-২,৫ কিলো থাকে, সেই ব্যাক্টেরিয়ার অনেক গোত্রের মৃত্যু হয় অযাচিত এন্টিবায়োটিক খেলে, যার জন্য শরীরে অনেক পুষ্টির ঘাটতি হয় ও মানুষের নানা রোগ হয়, যেমন ধরুন মধুমেহ রোগ। আরও অনেক কারণে মধুমেহ রোগ হয়। পৃথিতে মাংস ভক্ষণ বেড়ে যাওয়াতে। আজকাল উৎপাদিত শস্যের ৪০% যায় পশু পাখির পেটে। তেমনি শুরু হয়েছে জৈব জ্বালানি উৎপাদন। জনসংখ্যা বাড়ছে, মাটির নিচের জল কমছে, বন কেটে মনো কালচার এর শস্য উৎপাদন বাড়ছে, বন্ধু পোকা পাখি মৌমাছি মরছে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য কমছে। পশু বাড়ার জন্য, বন কাটার জন্য বায়ু মন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ছে , তাপমাত্রা বাড়ছে, মেরু বরফ গলছে , হঠাৎ অতি বৃষ্টি বা খরা , ঘূর্ণঝড় , সাইক্লোন বাড়ছে। গ্রিনল্যান্ড এর সব বরফ গলে গেলে সমুদ্র লেভেলের জলের উচ্চত ৭.৩ মিটার বাড়বে। পারমা ফ্রস্ট গলছে, জীবাণুর আক্রমণ বাড়ছে, তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ার জন্য সমুদ্রে জমা থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে, তাপমাত্রা আরও বাড়ছে। অন্যদিকে ফসিল এনার্জি সোর্স থেকে বিদ্যুৎ বানিয়ে ভোগ বাড়ছে। ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়ায় আরও তাপ বাড়ছে।
শস্যের দাম বাড়ছে, বাড়ছে গৃহ ও ধর্ম ও জাতি যুদ্ধ। কাজেই সবার বাঁচার স্বার্থে মাংস ভক্ষণ কমানো দরকার, তেমনি পশু পাখি দের বিনা কষ্টে মারার বিশ্বব্যাপী আইন দরকার। যে হিন্দুরা বংশ পরম্পরায় মাছ মাংস খায়না, তারাও তো জ্ঞানী শক্তিশালী হয়। জার্মানি তে ১০% অতি উচ্চ শিক্ষিত ভালো আয়ের মানুষ নিরামিষ খায় আরও ভালো ভাবে বাঁচার জন্য। কাজেই ধর্ম দিয়ে নয়, সহজ বিজ্ঞান দিয়ে মানুষ কে বুঝিয়ে মাংস খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। যে ফ্যামিলি নিঃসন্তান ভাবে মরবে, তাদের নামে রাস্তার পাশে একটা করে ফল গাছ থাকবে, আর গাছে তাদের বংশ ঠিকুজি লেখা থাকবে। ভারতে পশুপক্ষী কে ধর্মীয় কারণে হিন্দুরা খুব সম্মান করে, কষ্ট দেয়না বলে, বিশ্ববাসী রা আমাদের শ্রদ্ধা করে।
ব্যাটারি চালিত গাড়ি কোনো সমাধান নয়। সমাধান হলো বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ এর উৎপাদন বাড়ানো, আর সেই বিদ্যুৎ দিয়েই দিয়ে যদি ব্যাটারি চালিত গাড়ি হয়, আপত্তি নেই। তাতেই একমাত্র পরিবেশ দূষণ ও বিদেশের উপর নির্ভরতা কমবে। যেহেতু ব্যাটারি বানাতে খনিজ লাগে, তাই ব্যাটারি ভবিষ্যৎ নয়, ভবিষ্যত হলো তরল হাইড্রোজেন। অর্থাৎ সৌর বায়ু বিদ্যুৎ দিয়ে জল থেকে তরল হাইড্রোজেন বানিয়ে, তা দিয়ে গাড়ি চালানো। নতুবা ব্যাটারির-সাইকেল চালান শহরের মধ্যে। গতি বাড়বে। বায়ো ডিজেল পরিবেশ বান্ধব কেন নয় সেটা উপরেই বলেছি।
যদি দেশের কথা ভেবে সব দল প্ল্যান করে, ৭০ বছরে ইন্ডিয়া সব চেয়ে বড় ক্ষমতাধর হবে, আর হিন্দু মুসলিম প্রব্লেম ও থাকবেনা। কারণ একসন্তান কে মা বাবা চোখে চোখে রাখে, জিহাদে পাঠায় না। যে যার ধর্ম পালন করুক, এক দেশ এক আইন হোক। অধিকার আর দায়িত্ব যে পরস্পরের সাথে জড়িত , সেট মানুষকে বুঝতে শেখা উচিত। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অর্ধসত্য অপপ্রচার কুৎসা রটিয়ে খবর দিয়ে ক্লিক ব্যবসা করে আয় করার মিডিয়া কমানো হোক। জনগণের টাকায় প্রত্যেক ভাষায় সায়ত্বশাষিত নিরপেক্ষ মিডিয়া হোক. মিডিয়া ট্যাক্স চালু হোক ।
জনগণের অধিকার আছে মাতৃ ভাষায় সব লেখা পড়ার জানার বোঝার ও বলার। কবে জনগণ সেই অধিকার পাবে? আমি কেন বাংলা ভাষায় বুঝে সব ফর্ম পূরণ করতে পারবোনা বা নিজেই মাতৃ ভাষায় আইনের বই পড়ে আইন বুঝতে পারবোনা। কেন পার্লামেন্টে আমি বাংলায় বক্তৃতা দিতে পারবোনা ও অন্য ভাষীরা আমার বক্তৃতার তার ভাষায় simultan অনুবাদ শুনতে পারবেনা। মডার্ন টেকনোলজি দিয়ে সহজে এই সমাধান হয়, দরকার ইচ্ছা। কেন মাদ্রাজ এর পুলিশ এক ক্লিকে আমার সমন্ধে সব ইনফো পাবেনা, যাতে আমাকে বিদেশী বলে আটক না করে । কেন সব নাগরিক তার ডেটা স্থায়ী পুলিশ এর কাছে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বাধ্য থাকবেনা ও আপডেট দেবেনা? বিরোধী দলের ভয় কিসের? কেন ১ ঘন্টায় ভোটার লিস্ট থানা প্রিন্ট করে দিতে পারবেনা? কেন বার বার ডেটা সংগ্রহের জন্য জনগণের টাকার অপচয় হবে? একবার NRC /CAA করে সিস্টেম আপডেট হইল, খরচ কমে, আর হয়রানি কমে।
শত্রুর শত্রুকে জহর সরকার ও মমতার দরকার । জহর সরকার বা তৃণমূলের এজেন্ডা হলো বিজেপি কে ক্ষমতা থেকে সরানো। তারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশের উন্নতি কিভাবে করবে, ভিক্ষুক ও ঋণ কমাবে, তার কোনো প্ল্যান নেই।
বাঙালির উন্নতি করতে হলে দিল্লির সাথে মিলে মিশে কাজ করতে হবে, নতুবা বাঙালিত্ব আর থাকবেনা। আর ইন্ডিয়া কে এক রাখতে হলে, সিটেম আইন এর খোল নলচে পাল্টাতে হবে।
আমরা নিতে শিখেছি, দিতে শিখিনি। কাজেই প্রত্যেক নাগরিক ১২-২৪ মাস সামর্থ্য অনুযায়ী পেটে ভাতে ও যাতায়াত খরচ নিয়ে, হয় মিলিটারি ট্রেনিং নিক বা সোশ্যাল ওয়ার্ক করুক। শৃঙ্খলা পরায়ণ হবে চরিত্র উন্নত হবে। যে ব্যক্তি মিলিটারি ট্রেনিং না নেবে, তার পুলিশে চাকুরী হবেনা, তেমনি যে ওল্ড এজ হোম বা হাসপাতালে ২৪ মাস আয়ার কাজ না করবে, সে নার্সিং বা মেডিসিন পড়ার অধিকার পাবেনা। যে ২ বছর স্কুলে ফ্রি এডুকেশন না দেবে, সে টিচার হতে পারবেনা। আর ইউনিভার্সিটি বা কলেজের বা ভোকেশনাল ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষক হতে গেলে, তাকে ৫ বছরের প্রাকটিক্যাল কাজের অভিজ্ঞাতা থাকতেই হবে।
এবার জনগণ দাবি করবে, নেতা মন্ত্রী হতে কি কোনো জ্ঞানের দরকার নেই? হা দরকার আছে। অর্থনীতি, আইন, ও তার পছন্দ মত আরও ৩ টা বিষয় নিয়ে কম করে গ্রাজুয়েট হলে ও ৫ বছরের কোনো ফিল্ডে প্রাকটিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেই , দুর্নীতির প্রমান না থাকলেই ও ঘরে একজন চাকুরীজীবি বৌ বা বর থাকলেই তারা জনপ্রতিনিধি হোক। অসীম দাসগুপ্তর পিএইচডি করলেও তার প্রাক্টিক্যাল কাজের কোনো জ্ঞান নেই, তাই সে ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী। তবে যাদের সন্তান নেই বা নেবেনা, তাদের বাকি সব যোগ্যতা থাকলেই, জনপ্ৰতিনিধি হিসাবে প্রধান্য দেয়ার আইন হোক। যাতে চুরি করার দরকার না হয়। কোনো মতেই রাজনীতিতে বংশতন্ত্র কায়েম হতে পারবেনা। আর ১০% জনপ্রতিনিধি আসুক প্রফেশনাল জগৎ থেকে, যারা বেসরকারি বা সরকারি অফিসে কাজ করেছে, ৫০-৫৫ বছর বয়স। যাতে রাজনীতির চুরির আয়ের উপর নির্ভশীল না হয়। দলীয় মেম্বার দের চিহ্নিত করার জন্য পার্টি বুক ও নিয়মিত account এ চাঁদা দেবার প্রমান চালু হোক।
ঋণ না বাড়িয়ে জব বাড়িয়ে আয় বাড়াবার ব্যবস্থা হোক। চীন বাংলদেশের মত SEZ স্পেশাল ইকোনোমিক জোন চালু না করলে আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবোনা। সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু হোক, যাতে উৎপাদন বাড়ে ও খরচ কমে। অনলাইন বিক্রি তে নিরুৎসাহিত করার জন্য ট্যাক্স বৃদ্ধি হোক অনলাইন কেনাবেচায়। তেমনি বর্তমনে র দোকানদার রা সাবেকি নিয়মে দোকান না করে, যৌথ ভাবে বড় ব্যবসাকেন্দ্র বানিয়ে ব্যবসা করুক, কিছু জব টিকে থাকবে, ক্রয় মূল্য কমবে, সস্তায় বিক্রি করতে পারবে। অনলাইনের সাথে প্রতিযোগিতায় পারবে।
পরিবেশ কে ঠিক রেখে অন্তত নিজেদের যা প্রয়েজন, মডার্ন টেকনোলজি দিয়ে তার উৎপাদন শুরু হোক, যাতে উৎপাদন খরচ কমে, ও একদিন চীনের মত আমরাও টেকনোলজি তে আত্মনির্ভশীল হতে পারি। সেই জন্য দরকার দক্ষ কর্মী ও মডার্ন টেকনোলজি। দরকার নিজদের টেকনোলজি নিজেদের বানানো, যা এখন শুরু করলে ৫০ বছর পর বাস্তবায়িত হবে!
মোট কথা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের কেও আধুনিক হতে হবে। বিরোধিতা করে বাঙালি নিজের অস্তিত্ব বিনাশ এর চলে আসা প্রক্রিয়া বন্ধ করুক। মিলে মিশে রাজ্যের দেশের উন্নতি করুক।
মৃণাল , বার্লিন, ২৫.০৭.২০২১