হাজারিবাগে রাজা রামমোহন রায়ের নামের রাস্তার নাম বদলের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি এই রাস্তার নাম পাল্টে হোলি ক্রস রোড করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।
প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ অচিন্ত্য বিশ্বাস সংবাদের সূত্রের উল্লেখ করে ফেসবুকে ‘প্রতিবাদ করুন’ শিরোনামে লিখেছেন, “হাজারিবাগে রাজা রামমোহন রায়ের নামে একটি পথ হঠাৎই হোলি ক্রস রোড করা হয়েছে! রাজা রামমোহন রায়ের জন্মের ২৫০ বর্ষ উদযাপন চলছে। এই বিচিত্র সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল? ঝাড়খণ্ড বাঙালি সমাজ প্রতিবাদ করেছেন। আসুন, আমরাও প্রতিবাদ জানাই।“
প্রতিক্রিয়ায় স্বামী আদিদেবানন্দ লিখেছেন, “তীব্র প্রতিবাদ জানাই, যোগীজি ছাড়া কেউ দেশকে এবং হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। চারিদিকে নৈরাজ্য, জেহাদি অনুপ্রবেশ, ধর্মান্তরণ, টিকেইটের মত রাষ্ট্রবিরোধী নেতার দাদাগিরি, দীর্ঘ সময় যাবৎ রাজধানীর হাইওয়ে অবরোধ করে, দেশের কোটি কোটি টাকা আয়ের উৎস বানচাল করা, বিরোধী দলের শাসিত রাজ্য সরকারগুলির গুন্ডাগর্দি, দুর্নীতি দেশটাকে দ্রুত সর্বনাশের দিকে নিয়ে চলেছে।
সনৎ কুমার রায় লিখেছেন, “প্রতিবাদের ঝড় উঠবেই, মাননীয়া কি বলবেন?“ সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, “কিভাবে জানাবো প্রতিবাদ? ঝাড়খণ্ডে তো এখন ‘জয়বাংলা-বন্ধু’ সরকার।“ সুমন ঘোষ লিখেছেন, “যাঁরা এই কাজটি করলেন তাদের প্রতি তীব্র ধিক্কার ও তীক্ষ্ম প্রতিবাদ জানালাম।“
পুলক দাস লিখেছেন, “তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সঞ্চিতা লালা লিখেছেন, “প্রতিবাদ রইল।“ তমাল বিশ্বাস, দীনেশ বরাট, অংশুমান ঘোষ, পঙ্কজ মহাজন— এঁরাও নানা ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুকে। প্রশান্ত চক্রবর্তী লিখেছেন, “সমবেত প্রতিবাদ হোক“।
সুব্রত দাস লিখেছেন, “মনে হচ্ছে রাজা রামমোহন রায়ের সতী প্রথা বিলুপ্তকরণের উদ্যোগ এদের পছন্দ হয়নি। তবে ওদের কেউ বলে দিক যে বাঙালির ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করার পেছনেও এই মানুষটির উদ্যোগ ছিল। সুতরাং, হোলি ক্রসধারীদের রামমোহন রায়ের উপর অখুশি হবার মতো কোনো কারণ নেই।“ মণীষ সিনহারায় লিখেছেন, “যাঁরা নাম পাল্টেছেন সেই অশিক্ষিতরা হয়ত রামমোহন রায় কে জানেই না, নামই শোনেন নি। শুধু বাঙালিরা কেন , জাতীয় স্তরে সর্বতোভাবে প্রতিবাদ প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।“