দুই বাংলাতেই, লাভ জিহাদ কিন্তু চলছে অবাধে! দেশকাল ও পরিস্থিতির ভেদ যাই হোক না কেন, কোথাও যেন একটা যোগসূত্র দেখা যায় ভালোবাসার ছলনায় জেহাদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিতকরণের প্রয়াসে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া লাভ জেহাদের দুটো ঘটনা দু’দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অন্যতম আলোচ্য বিষয়। স্থান ও পাত্র ভিন্ন হলেও, ঘটনার নির্মমতা লক্ষণীয় ও অভিভাবকদের ও সমাজবিজ্ঞনীদের কাছে চিন্তার বিষয়।
পশ্চিমবাংলার পরিপ্রেক্ষহীতে বলা চলে জাতীয় মানের ক্যারেটেকা বালির পামেলা অধিকারীর আত্মহত্যা যথেষ্টই উদ্বেগের সঞ্চার করেছে হিন্দু সমাজে এবং এর কারণ হলো লাভ জেহাদ।
অভিযুক্ত শেখ তারুফকে পুলিশ গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের গলসী থেকে, কিন্তু তাতে কি? যা হওয়ার তো হয়ে গেছে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ বিবাহিত তারুফ ফেসবুকে নাম ভাঁড়িয়ে পামেলার সাথে বন্ধুত্ব করে তাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় ও পরে পামেলার সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করার হুমকি দেয় এবং তাতেই আপত্তি জানায় পামেলা। শুধু তাই নয়, ওই কৃতি মেয়েটি আত্মহত্যা করে।
এবার আসা যাক বাংলাদেশের ঘটনায়।
বাগেরহাট জেলার মহিবুল্লার একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরির সময় চট্রগ্রাম জেলার নুশু বড়ুয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় । মেয়েটিকে লাভ জেহাদে ফাঁসায় মহিবুল্লা এবং কালক্রমে বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে ।
বাগেরহাট জেলার মহিবুল্লার একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরির সময় চট্রগ্রাম জেলার নুশু বড়ুয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় । মেয়েটিকে লাভ জেহাদে ফাঁসায় মহিবুল্লা এবং কালক্রমে বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে ।
মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করার পর মেয়েটির নাম দেওয়া হয় সানজিদা আক্তার মনা যাকে বিয়ে করে মহিবুল্লাহ ।
বিয়ের কিছুদিন পর সানজিদা বুঝতে পারে মহিবুল্লা প্রতারণার করে তার কাছে থাকা ৫ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণও নিয়ে যায় । শুধু তাই নয়, বিয়ে করার এক বছরের মাথায় তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় শহরের এক পতিতালয়। পরে ভাগ্য জোরে সানজিদা পতিতালয় থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু এখন সে এক অন্ধকার ঘরে তার শিশুকন্যাকে নিয়ে জীবন চালাচ্ছে ভিক্ষা করে।
দুটো ঘটনা দুই ভিন্ন দেশে ঘটলেও, ঘটনা দুটোর যোগসূত্র বাঁধা আছে লাভ জেহাদ নাম ধর্মীয় প্রতারণার মাধ্যমে জেহাদের জালে।