রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), কংগ্রেস ও বামেদের মহাজোটকে প্রত্যাখ্যান করল বিহার। ২৪৩-সদস্য বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১২৫টি আসনে জয়লাভ করল এনডিএ। ১২৫টির মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করেছে ৭৪টি আসনে, জনতা দল (ইউনাইটেড) জয়ী হয়েছে ৪৩টি আসনে, বিকাশশীল ইনসান পার্টির ঝুলিতে চারটি আসন এবং হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চা জয়লাভ করেছে চারটি আসনে। এনডিএ-বিরোধী মহাজোট জয়লাভ করেছে ১১০টি আসনে। আরজেডি জয়ী হয়েছে ৭৫টি আসনে, কংগ্রেস ১৯টি আসনে এবং বামেদের ঝুলিতে ১৬টি আসন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদউল-মুসলিমীন (এইএমআইএ) জয়লাভ করেছে পাঁচটি আসনে, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি জয়ী হয়েছে একটি আসনে, চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি জয়ী হয়েছে একটি আসনে এবং নির্দল প্রার্থীর ঝুলিতে একটি আসন।
বিহারে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। বিহারে এনডিএ জয়লাভ করলেও, একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকে একটি আসনে পিছনে ফেলে দিয়েছে তেজস্বীর দল। আরও তলানিতে গিয়ে থেকেছে কংগ্রেস। ২৪৩-সদস্য বিশিষ্ট বিহারে জয়লাভের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২২টি আসন। ১২৫টি আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এনডিএ। ফলে বিহারে পুনরায় সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশ কুমারই।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে, রাজ্যের ৩৮টি জেলার ৫৫টি গণনা কেন্দ্রে ভোটগণনা চলছিল। ভোটগণনা শেষ হয় বুধবার সকাল ৪.০৫ মিনিট নাগাদ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে পোলিং সেন্টারের সংখ্যা ছিল ৭২,৭২৩। কিন্তু, করোনা-পরিস্থিতির জন্য এবার পোলিং সেন্টারের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১,০৬,৫১৫টি।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র জয় যখন একপ্রকার নিশ্চিত, এমন সময় বিহারবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। মঙ্গলবার রাতে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিহারের যুবসম্প্রদায় এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই নয়া দশক হবে বিহারের। আত্মনির্ভর বিহারের মাধ্যমেই সেই রোডম্যাপও তৈরি হবে। এনডিএ-র ক্ষমতা এবং সংকল্পের প্রতি আস্থা রেখেছে বিহারের যুবসমাজ। এই যুবশক্তিই এনডিএ-কে আগের থেকে আরও কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহিত করবে।’ বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য মহিলা এবং তরুণদের অভিনন্দন জানান অমিত শাহ।
2020-11-11