মোর পাওয়ার টু ইয়ু। শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ৫ই নভেম্বর ভারতে আসছে আরও ৩টি রাফায়েল ফাইটার জেট। জুলাই মাসেই প্রথম ধাপে ৫টি রাফায়েল ভারতে পাঠায় ফ্রান্স। আবুধাবি হয়ে সেগুলি অম্বালা এয়ারবেসে এসে পৌঁছয় ২৯শে জুলাই।
ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন নাম্বার সেভেনের পাইলটরা এই রাফায়েল ব্যবহার করছেনষ বেশ কয়েকবার লাদাখ সীমান্তে চক্কর কেটেছে রাফায়েল। চলেছে নজরদারি। এবার দ্বিতীয় ধাপে ৩টি রাফায়েল আসছে ভারতে বলে খবর।
ভারতীয় বায়ুসেনায় এই মুহুর্তে রাফায়েল জেটের সংখ্যা ৭টি। রাফায়েলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এটি শত্রুদেশে প্রবেশ না করেই ৬০০ কিমি দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে তা গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া এই বিমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিক দিয়েও উন্নত, যা চাপে রেখেছে চিন-পাকিস্তানকে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন রাফায়েলে রয়েছে দুটি Snecma M88 ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের সুবিধা হল এই ইঞ্জিনের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। রাফায়েলে স্কাল্প ইজি স্টর্ম শ্যাডো, এএএসএম, ৭৩০ এ ট্রিপল ইজেক্টর র্যাক, ড্যামোক্লস পড, হামার মিসাইল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। মোট তিন ধরনের মিসাইল বসানো যেতে পারে। এয়ার-টু-এয়ার মেটিওর মিসাইল, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড স্কাল্প মিসাইল এবং হ্যামার মিসাইল। এরফলে কয়েকগুণ শক্তিবৃদ্ধি হয় সেনার।
এছাড়াও রাফালের আকার এই যুদ্ধবিমানকে হাওয়ায় লড়াই করতে সাহায্য করে। রাফায়েল দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে যথাক্রমে ১৫.২৭ মিটার ও ১০.৮০ মিটার। অন্যদিকে চেঙ্গদু লম্বায় ২০.৪ মিটার ও চওড়ায় ১৩.৫ মিটার। এই যুদ্ধবিমানে একবার জ্বালানী ভরা হলে এটি ১০ ঘন্টা একটানা হাওয়ায় উড়তে পারে।
এর আগে জানা গিয়েছিল, ভারতে নিয়ে আসা হবে আরও রাফায়েল জেট। সেই লক্ষ্যেই ফ্রান্স সফরে যায় বায়ুসেনার বিশেষ টিম। এই টিমে ছিলেন দুজন উচ্চপদস্থ অফিসার। রাফায়েল প্রজেক্টের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যই এই সফর বলে জানা যায়। রাফায়েলের দ্বিতীয় পর্যায়ের জেটগুলি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে আসবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই জেটগুলির গুণগত মান পরীক্ষা করতেই বায়ুসেনা অফিসাররা ফ্রান্সে যান।