পুলওয়ামা হামলা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতেই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছিল ভারতের বায়ুসেনা। এরপর ভারতে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগ বাড়িয়ে চিঠি দিলেন তাঁকে। কাশ্মীর ও দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি মোদীকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহে কিরিগিজিস্তানের বিশকেকে সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যাচ্ছেন মোদী। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ইমরান খানও। ভারত থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই বৈঠকের এক ফাঁকে মোদী ও ইমরানের কথা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এর পরেও পাকিস্তান থেকে মোদীকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, তিনি কাশ্মীর সহ সব বিরোধ মিটিয়ে নিতে চান। দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান। সেই সঙ্গে লিখেছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করেই মানুষকে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্যও দুই দেশের সহযোগিতা চাই। পাকিস্তান চায়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতির ক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলি দূর হোক। কাশ্মীর ইস্যুরও মীমাংসা হোক আলোচনার মাধ্যমে। ভারত এখনও এই চিঠি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
নরেন্দ্র মোদী নির্বাচিত হওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইমরান তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। দিল্লির বক্তব্য, পাকিস্তান যতদিন সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না করবে, ততদিন আলোচনা করে লাভ নেই।
গত এপ্রিলে ইমরান বলেছিলেন, মোদী দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে এলে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। কংগ্রেস যদি নির্বাচিত হয়, তারা পাকিস্তান বা কাশ্মীর নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারবে না। তারা ভাববে, এর ফলে উলটো বিপত্তি হতে পারে।