আনন্দের কয়েকটা দিন কাটিয়ে আজ মন খারাপের দশমী৷ বিসর্জনের সুর বাজতেই যেন মন খারাপ আপামর বাঙ্গালির৷ দুর্গা মাকে বিদায় জানাতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছেন গঙ্গার ঘাটে ঘাটে৷ রয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা৷
এবছর দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শহরের ১৫টি গঙ্গার ঘাট নির্দিষ্ট করেছে কলকাতা পুরসভা৷ এর মধ্যে রয়েছে বাজে কদমতলা, জাজেস ঘাট, নিমতলা এবং দহি ঘাট৷ কড়া নিরাপত্তায় গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে প্রতিমা বিসর্জন৷ নিরাপত্তার পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে গঙ্গার দূষণের দিকটিও৷
আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা বিসর্জন৷ আর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ প্রতিটি ঘাটে রয়েছে প্রচুর পুলিশ৷ এদিন বিশেষ করে বাড়ির পুজোগুলির বিসর্জন হয়৷ তবে কিছু বারোয়ারী পুজোরও প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে৷ পুলিশের পাশাপাশি বিসর্জনের ঘাটে রয়েছেন পুরসভার প্রতিনিধি দল৷
লালবাজার সূত্রে খবর, বিসর্জন উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটে রয়েছে পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা৷ ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি রাখা হচ্ছে৷ এছাড়া রয়েছে সিসিটিভির ব্যবস্থা৷ জলপথেও নজরদারির জন্য রয়েছে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ৷
অন্যান্য বছরের মত এবারও গঙ্গার জলের কাছাকাছি এক সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না৷ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে বিশেষ দল রয়েছে৷
তারাই কাঁধে করে নিয়ে জলে প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন৷ তবে বিসর্জনের আগে প্রতিমার সঙ্গে থাকা যাবতীয় বর্জ্য যেমন, ফুল, ফল ও অন্যান্য সাজের জিনিস গঙ্গার ঘাটে পুরসভার নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হচ্ছে৷ আর বিসর্জনের পরে ক্রেনে করে প্রতিমা তুলে তা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হচ্ছে৷
বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে গঙ্গা যাতে দূষিত না-হয়, তার জন্য বিসর্জনের আগে গঙ্গার বেশ কিছু ঘাট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রাজা৷