ভারতের অর্থনীতির, মন্দা সাময়িক,অদূর ভবিষ্যতেই চাঙ্গা হবে অর্থনীতি মত আইএমএফ প্রধানের

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমাবনতি নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে শোরগোল তুঙ্গে ও সামনেই চলতি বছরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চেয়ারপারসন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা শুক্রবার বলেন যে ভারতের আর্থনৈতিক মন্দা সাময়িক এবং আগামী মাসগুলিতে অর্থনীতি ক্রমশ চাঙ্গা হবে। দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ভাষণে ক্রিস্টালিনা বলেন যে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের অর্থনীতির হাল বিগত অক্টোবরের চেয়ে অনেক ভাল দেখাচ্ছে। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ খতম হওয়ার কারণে অবস্থার এই পরিবর্তন ।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চীন ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার কাজ শেষ হয়েছে। এই ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে আগামী দিনে বিশ্ব অর্থনীতি দ্রুত বিকাশ লাভ করবে। এই বাণিজ্য চুক্তি ভারতসহ বিশ্বের সব দেশেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে ক্রিস্টালিনার বক্তব্য যে বিশ্বের অর্থব্যবস্থার জন্য ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধির হার অপর্যাপ্ত। তিনি মনে করেন যে সরকারকে রাজকোষের ঘাটতির দিকে নজর রাখতে হবে এবং প্রচুর সংস্কার করতে হবে যাতে বৃদ্ধির হার তেজী হয় । ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড চলতি অর্থবছরে ভারতের জন্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। আইএমএফ দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে এই অনুমান প্রকাশ পেয়েছে। এর আগে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেছিলেন যে ভারতসহ অনেক দেশের মন্দার প্রভাবই বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণ । গোপীনাথ আরও বলেন যে ২০২০ সালে বৈশ্বিক বিকাশের গতি খুব অনিশ্চিত রয়েছে। এর কারণ আর্জেন্টিনা, ইরান এবং তুরস্কের মতো চাপযুক্ত অর্থনীতির বৃদ্ধির ফলাফল এবং ব্রাজিল, ভারত ও মেক্সিকোর মতো উদীয়মান ও নিম্ন-উন্নয়নশীল দেশগুলির অবস্থার উপর নির্ভরশীল। অনুমান অনুসারে, চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধি হবে ৪.৮ শতাংশ ।

এটি ২০২০ সালে ৫.৮শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৬.৫শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমএফ বলেছে যে অর্থনীতিকে আবারো সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে ভারতের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বড় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এই প্রসঙ্গে আইএমএফ বলে যে ভারতের অর্থব্যবস্থা গ্লোবাল ইকোনোমিক গ্রোথ বাড়ানোর মতো অর্থব্যবস্থার মধ্যে অন্যতম। সুতরাং ভারতকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বলেছে যে ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। এটি এনবিএফসিগুলির চাপ এবং ঋণ বৃদ্ধির ঢিলেমির কারণে। গোপীনাথের মতে নন-ব্যাংকিং সম্পদের ক্ষেত্রে নরম মনোভাব এবং গ্রামীণ আয়ের দুর্বল বৃদ্ধির কারণে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস পেয়েছে ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.