উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের চন্দ্রশেখর আজাদ পার্ক থেকে অতিক্রমন হটানোর এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের উপর আমল করা শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। আদালতের আদেশের পর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন বুলডোজার নিয়ে পার্কে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা মসজিদ, মাজার সমেত অনেক অবৈধ নির্মাণ ধ্বংস করে দেয়। প্রশাসন পার্কে ১৯৭৫ সালের পর বানানো সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলে।
প্রশাসনের আধিকারিকদের দ্বারা বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু করা এই অতিক্রমন হটানোর কাজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জারি ছিল। এই অভিযানে প্রশাসনের তরফ থেকে ৩টি মাজার আর ১৪ই কবর ভেঙে ফেলা হয়। পাশাপাশি একটি মসজিদও ভেঙে ফেলে প্রশাসন। সমস্ত অবৈধ নির্মাণ হটানোর পর সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
পার্কের হিন্দুস্তানি অ্যাকাডেমি আর লেডিজ ক্লাবের অতিক্রমনকেও হটিয়ে দেয় প্রশাসন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান সফল করার জন্য পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছিল। প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতি, হিন্দুস্তানি অ্যাকাডেমি, গঙ্গানাথ ঝাঁ সংস্থার চত্বরেও অবৈধ নির্মাণ হয়েছিল, সেগুলোও হটিয়ে দেয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এই বিষয়ে জিতেন্দ্র সিং নামের এক ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি দায়ের করা মামলায় অভিযোগে করে বলা হয়েছিল যে, পার্ক ধীরে ধীরে গোরস্থানে বদলে যাচ্ছে। জিতেন্দ্রর দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল যে, বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষরা পার্কের জমিতে কবজা করা শুরু করে গোরস্থান বানানোর কাজে লেগে পড়েছে। পার্কের মধ্যে থাকা একটি বিল্ডিংকে মসজিদে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জিতেন্দ্র সিংয়ের এই মামলার শুনানির সময় এলাহাবাদ হাইকোর্ট চন্দ্রশেখর পার্ক থেকে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ হটানোর কড়া নির্দেশিকা জারি করে। আর সেই মর্মেই জেলা প্রশাসন বুলডোজার এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রচুর পুলিশ নিয়ে পার্কের সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেয়।