দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল লড়াই। মারণরোগে আক্রান্ত হওয়া সত্বেও, অসুস্থতাকে কোনোদিনই আমল দেননি তিনি। কার্যত শেষ প্রানশক্তিটুকু দিয়েও মুখ্যমন্ত্রিত্ব চালিয়ে গিয়েছেন মনোহর পারিক্কর। বিরোধীরা বলেছিলেন, অসুস্থ পারিক্করকে দিয়ে জোর করে প্রশাসনিক কাজ চালাতে চাইছে বিজেপি। যদিও পারিক্কর সবসময় বলেছেন, তিনি নিজের ইচ্ছেতেই কাজ করে যাচ্ছেন। আসলে রাজনীতি শুরু খুব ছোট বয়সেই। তাই শেষদিন পর্যন্ত সরে আসতে পারেননি তিনি।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন পারিক্কর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে। তিনি মন্ত্রী থাকাকালীনই উরি হামলার বদলা নিতে অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা।
তিনিই ভারতের প্রথম বিধায়ক যিনি IIT-র প্রাক্তনী ছিলেন। বম্বে আইআইটি থেকে প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে বিশেষ পুরস্কারও পান তিনি।
খুব কম বয়সেই আরএসএসের সদস্য হন পারিক্কর। মুখ্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। আইআইটি-র পড়াশোনা শেষ করে ফের ফেরেন সঙ্ঘের কাজে। সঙ্ঘচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। আরএসএসের অংশ হিসেবে সবসময় গর্ব করতেন তিনি।
১৯৯৪-তে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়ক নির্বাচিত হন গোয়া থেকে। ১৯৯৯-এর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিনি বিরোধীদলের নেতা হিসেবে কাজ করেন এবং ২০০০ সালে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু তার সরকার ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকেছিল। পরে ২০০২ সালের ৪ জুন তিনি আবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নিজেকে সবসময়ই সাধারণ মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দাবি করতেন নিজেকে।