‘কেন্দ্রের কথা শুনলে বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকত’, তোপ রবিশংকর প্রসাদের

এবার ভারচুয়াল সভা (Virtual Meeting) থেকে একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)। লকডাউনে রাজ্যের নীতি সঠিক না থাকার কারণেই ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, এমনই মন্তব্য করলেন তিনি। পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিক ও চিন ইস্যুতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন।

বৃহস্পতিবার ভারচুয়াল সভা থেকে করোনা (Coronavirus) প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, “বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত ছিল রাজ্যের।” এরপরই প্রশ্নের সুরে বলেন, যেখানে মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে সেখানেও কেন বাংলা কেন্দ্রের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ে নামছে না? দিল্লির উদাহরণ দিয়ে বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করাতেই সেখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে রাজ্যের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, “বাংলায় প্রথম দিকে কঠোর লকডাউন পালন হয়নি। পরে সংক্রমণ ছড়ানোর পর কঠোর হয়ে লাভ কী!” পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকও বিবেচনা করেনি রাজ্য, তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। শ্রমিকদের তালিকা পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিক স্পেশ্যালকে ‘করোনা স্পেশ্যাল’ বলেন, তাঁর কাছে পরিযায়ীদের প্রতি এমন আচরণই কাম্য।”

চিনা অ্যাপ বাতিল প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীর তথ্য চুরি রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত কেন্দ্র।” চিনের বিরোধিতায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি দাবি করেন যে, “রাজীব গান্ধী ট্রাস্টে অর্থ আসত চিনের সরকার থেকে”। এদিন দিলীপ ঘোষের হামলার ঘটনার নিন্দাও করেন রবিশংকর প্রসাদ। বলেন, “যে রাজ্যে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ রয়েছে, সেখানে এহেন ঘটনা অনভিপ্রেত।” এদিনের ভারচুয়াল সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও। কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পেই রাজ্য সহযোগিতা করছে না বলেই মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.