দিল্লিতে অক্সিজেনের জোগান নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের আদালত অবমাননার নোটিস প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কিছুটা স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এম আর শাহের বেঞ্চ বুধবার জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সঙ্কটের মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে কম অক্সিজেন সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের জেলে পাঠানোর দাওয়াই অর্থহীন।
পাশাপাশি শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে, গত ৩ মে থেকে দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়ে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করেছে, এবং পরবর্তী পর্যায়ে কী কী পদক্ষেপের পরিকল্পনা রয়েছে তার খতিয়ান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে দুই বিচারপতির বেঞ্চে হলফনামার মাধ্যমে পেশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, দিল্লিকে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের বিচারবিভাগীয় নির্দেশ পালন না করায়, মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রকে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। পাঠানো হয়েছিল নোটিসও।
পাশাপাশি, দিল্লি হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, দিল্লিকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি (কেন্দ্রীয়) আধিকারিকদের জেলে ভরা উচিত। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘সরকারি আধিকারিকদের জেলে ভরলেই অক্সিজেন সঙ্কট মিটে যাবে না’। অক্সিজেনের চাহিদা এবং সরবরাহকারী সংস্থার সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত বলেও বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি শাহের বেঞ্চ জানান বুধবার।
দিল্লি হাইকোর্টের ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। বুধবার শুনানি পর্বে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ৪ মে দিল্লিকে ৫৮৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিয়েছে কেন্দ্র। তা ৫৯০ টন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। দিল্লিকে ৫৫০ টন অক্সিজেন দিলে সমস্যা মেটানো যেতে পারে বলে কেন্দ্রের আইনজীবী শীর্ষ আদালতকে জানান। যদিও সুপ্রিম কোর্ট জানায় ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন দিতে হবে দিল্লিকে। অক্সিজেন সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে ‘মুম্বই মডেল’ অনুসরণের বিষয়টি ভেবে দেখার জন্যও কেন্দ্রকে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।