জিষ্ণু বসু: দেশ ভাগ না হলে আজ কি অবস্থা হত? বেলুচিস্থান থেকে অরুনাচল পর্যন্ত একটাই দেশ থাকত, ভারতবর্ষ। মুসলমান সমাজের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারে দাবিতে পাকিস্থান তৈরি হয়েছিল। আজকের পাকিস্থানে ২০ কোটি মুসলমান আছেন, বাংলাদেশে ১৪.৬ কোটি আর ভারতে থাকেন ১৭.২ কোটি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। কেমন আছেন পাকিস্থানের মুসলমানেরা? রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানব সম্পদের সূচক হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (এইচ ডি আই)। ২০১৯ সালে ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এর মান ছিন ০.৬৪৭ আর পাকিস্তানের ০.৫৬০। এর মাঝে আছে বাংলাদেশের মতো অনেকগুলি দেশ। বাংলাদেশে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নিশ্চয়ই ভারতবর্ষের থেকে ভালো নেই। না হলে বাংলাদেশী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে এত অনুপ্রবেশ করছেন কেন?
আজ কারো মনে সন্দেহ নেই যে দ্বিজাতি তত্ত্বের কোন ভিত্তি নেই।এই উপমহাদেশের হিন্দু এবং মুসলমান আসলে একই জাতি। উপাসনা পদ্ধতিতে হিন্দু আর মুসলমান ভিন্ন। কিন্তু জাতিটা একই। এর একটা বড় উদাহরণ পাকিস্তানের স্কুলপাঠ্য বিভ্রাট। পাকিস্তানে সেকেন্ডারি এডুকেশনে আবশ্যিক বিষয়ের মধ্যে আছে গণিত, ইংরেজি, উর্দু, ইসলামিক স্টাডিস আর পাকিস্তান স্টাডিস। এই পাকিস্তান স্টাডিস বিষয়ে সামান্য ইতিহাস আছে। পাকিস্তানের ছেলেমেয়েরা স্কুল ছাড়ার আগে আলাদা করে আর ইতিহাস পড়ে না। কারণ ইতিহাস পড়লেইতো তক্ষশিলা বিশ্ববিদ্যালয়, পাঞ্জাবের নানকানা সাহিব পড়াতে হবে। তখন কোথায় থাকবে দ্বিজাতি তত্ত্ব?
দেশভাগের সময় রাজনৈতিকভাবে যারা মুসলিম লীগের দ্বিজাতিতত্ত্বকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরাও ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়েছেন গত সাত দশকে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি পাকিস্থানের দাবিকে সমর্থন করেছিল। পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পরে ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ কলকাতায় ‘কমিউনিস্ট পার্টি অব পাকিস্তান’ জন্মগ্রহণ করে। সিপিপি দলের প্রথম সম্পাদক হলেন সাজ্জাদ জাহীর। আজকের পাকিস্থানে, কোথাও হয়তো কোনও কমিউনিস্ট পার্টির সাইন বোর্ডও খুঁজে পাওয়া যাবে না! বাংলার তথাকথিত দলিত নেতা যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল মুসলিম লীগকে সমর্থন করেছিলেন। স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী হলেন তিনি। করাচিতে বাংলো পেলেন। কিন্তু মাত্র ৩ বছরেই তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছিল। ১৯৫০ সালে কোনমতে প্রাণ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল।
১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মারা গেলেন মহম্মদ আলি জিন্না। পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আজম একবার বলেছিলেন, “আমি আর আমার টাইপ রাইটার ছাড়া পাকিস্তান তৈরিতে আর বিশেষ কারো অবদান নেই।” জিন্না সাহেব ১৯৩০ সাল থেকেই যক্ষারোগে ভুগছিলেন, শেষে তাঁর ফুসফুসে কর্কট রোগও দেখা দেয়। জিন্নার অসুস্থতার খবর তাঁর বোন ফতেমা জিন্নার মত মুষ্টিমেয় কয়েকজনই জানতেন। আকবর এস. আহমেদের বই “জিন্না, পাকিস্তান অ্যান্ড ইসলামিক আইডেন্টিটিঃ দ্য সার্চ ফর সালাদিন”। লেখক বলছেন, মাউন্টব্যাটেন পরে আক্ষেপ করেছিলেন যে জিন্না সাহেবের অসুস্থতার কথা তিনি আগে জানলে ভারত ভাগের গোটা বিষয়টাই তিনি একটু পিছিয়ে দিতেন।
ভারত ভাগ হলে হোক কিন্তু ঝটপট স্বাধীনতা চাই, এমনটাই মত ছিল কিছু রাষ্ট্রনেতার। তাঁদের বক্তব্য ছিল, জেলে থেকে থেকেই তো জীবন শেষ হয়ে গেল, এবার তো একটু ক্ষমতার স্বাদ পেতে দাও! প্রিয়ংবদের লেখা গবেষণামূলক গ্রন্থ, “ভারতীয় রাজনীতি কে দো আখ্যান”। নেতাজী সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের মধ্যে এই চাওয়া পাওয়ার কথা, দুর্নীতির কথা ক্ষোভের সঙ্গে লিখেছিলেন মহাত্মা গান্ধীকে। গান্ধীজীও ব্যাথিত ছিলেন। চিঠির উত্তরে সুভাষকে গান্ধীজী বললেন, তোমাদের কম বয়েস, সাহসের সঙ্গে এইসব দূর করে নিষ্কলঙ্ক করো রাজনীতির প্রাঙ্গণ। কিন্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আর ভারতে ফিরতে পারলেন না।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাফল্য আর নৌবিদ্রোহ ইংরেজ শাসনের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল।
চলে যাওয়াটা ছিল কেবল সময়ের প্রতীক্ষা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্দামানের পোর্টব্লেয়ারের জিমখানায় আর ১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল মনিপুরের মৈরাং ইন্ডিয়ান ন্যাশেনাল আর্মি (আই.এন.এ) সদর দফতরে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তলন করেছিলেন। লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতে আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই পুলিশ বিদ্রোহ হয়। অ্যালেক্স ভন ট্রাঞ্জেলম্যানের বই “ইন্ডিয়ান সামারঃ দ্য সিক্রেট ইস্ট্রি অফ দ্য এন্ড অফ আন এম্পায়ার”। লন্ডনের এই গবেষিকা শেষের সেই দিনগুলির উপর বিস্তৃত গবেষণা করেছেন। নৌবাহিনীতে লর্ড মাউন্টব্যাটনের ডাকনাম ছিল, ‘মাস্টার অফ ডিজাস্টার’। ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট অ্যাটলি তাঁকে দায়িত্ব দিলেন। ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে অক্টোবরের মধ্যে একটা সমাধান সূত্র বের করতে বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর একান্তই যদি কিছু না বের হয় তো ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ভারতকে ভারতের হাতেই ছেড়ে দিয়ে ইংরেজ চলে যাবে, তোমরা তোমাদেরটা বুঝে নাও। মাউন্টব্যাটেন ভারতে পা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিহারে পুলিশ বিদ্রোহ হল। ইংরেজ অফিসারদের বুকে তখন বিদায়ের ঘন্টা বাজছে।
মহাত্মা গান্ধী দেশভাগ চাননি। তিনি বলতেন তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে দেশ ভাগ হবে। মাউন্টব্যাটেনরা তাঁকে বোঝালেন, দেশভাগ না হলে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হবে। আর দেশভাগ হলে? সব মিটে যাবে। ১৯৪৬ সালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, “ইংরেজ চলে গেলে আর কোন সাম্প্রদায়িক সমস্যা থাকবে না।” সে বছরই ১৬ আগস্ট মুসলিম লীগের ডায়রেক্ট অ্যাকশানের ডাকে কলকাতার “গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং” সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৪৬ সালের কোজাগরী পূর্ণিমার দিন নোয়াখালির দাঙ্গা শুরু হল। গান্ধীজী ছুটে গিয়েছিলেন নোয়াখালিতে, মাসের পর মাস ছিলেন সেখানে। কিন্তু সমাধান হল না। অত্যাচারিতরা ঘরে ফিরলেন না।
এই দুটি ঘটনা বাংলার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক মেঘনাদ সাহাদের মত মনীষীদের সজাগ করেছিল। সমগ্র বাংলাকে কিছুতেই পাকিস্তানে ছাড়া যাবে না। আর সোহরাওয়ার্দী সাহেবদের অখন্ড সার্বভৌম বাংলার সোনার পাথরবাটিও ভয়ঙ্কর হত। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়দের প্রচেষ্টাতেই ভারতবর্ষে থেকে গেল পশ্চিমবঙ্গ।
ভারত ভাগ হওয়ার পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেড়েছে বই কমেনি। ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান সাহেব কথা দিয়েছিলেন যে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ইজ্জত, প্রাণ আর সম্পত্তি রক্ষা করার। পাকিস্তান একতরফা ভাবে এই চুক্তি ভেঙ্গেছে। তার থেকেও দুঃখের বিষয় হল, নেহরুজীর সরকারও এতবড় অমানবিক বিষয়কে কখনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেনি।
১৯৪৭ সালের ৩ জুন যেদিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দেশভাগের প্রস্তাবে সায় দিল সেদিন মহাত্মা গান্ধী কারও সঙ্গে কথা বলেননি, তিনি মৌনব্রত রেখেছিলেন। ঠিক আগের দিন মাউন্টব্যাটেন গান্ধীজীর কাছে এসেছিলেন। কতকটা বাপুজীর মন বুঝতে, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী না বেঁকে বসেন। “মিঃ গান্ধী, আপনি নিশ্চয়ই আমার পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন না?” গান্ধীজীর নিরুত্তাপ উওর ছিল, “আমি কোনদিন আপনার বিরোধিতা করেছি?”
সেদিনের পরিস্থিতিটা অনেকটা আমেরিকার গৃহযুদ্ধের শুরুর মূহূর্তের মত ছিল। যখন “সার্দান স্টেট” সমূহ বলেছিল, তারা দাসপ্রথার বিলোপ মেনে নেবে না। কিন্তু সেদিন মার্কিন প্রসিডেন্ট লিংকন বলেছিলেন যে তিনি দুটি রাষ্ট্রের অস্তিত্বই বিশ্বাস করেন না। লিঙ্কন তাঁর কথা আর কাজে মিল রাখতে পেরেছিলেন। ‘আমেরিকান সিভিল ওয়ার’ শুরু হল। প্রেসিডেন্ট লিঙ্কন নিজেকে নিঃশেষ করে দিয়েছিলেন দেশটাকে এক রাখতে। ১৮৬১ সালে যুদ্ধ শুরুর আগে লিঙ্কনের চেহারা আর ১৯৬৫ সালে তাঁর ভেঙ্গে যাওয়া চেহারা তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ। সেই যুদ্ধে সব মিলিয়ে ৬ লক্ষের কিছু বেশী মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ভারত ভাগের অভিশাপে ২০ লক্ষ মানুষের প্রান গিয়েছে। বিগত ৭০ বছরেও উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। ২০১৯ সালেই নাগরিকত্ত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে প্রথম পূর্ববঙ্গ থেকে আসা অসহায় উদ্বাস্তুদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করল ভারত সরকার।
মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী কিন্তু দেশ ভাগের পরেও আশা ছাড়েননি। তিনি নতুন সহায়ক খুঁজছিলেন। ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক সকালে দিল্লির ‘ভাঙ্গী কলোনিতে’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এক শাখায় এলেন গান্ধীজী। ৫০০ জন স্বয়ংসেবকের উপস্থিতিতে গান্ধীজী বললেন, “আমার সব সময়ই বিশ্বাস ছিল, যে সংগঠনের সদস্যরা একটা আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আত্মনিবেদনের ভাবনাতে কাজ করেন, তাদের শক্তিবৃদ্ধি হবেই”I সেদিন গান্ধীজী ১৯৩৪ সালের স্মৃতি চারণ করেছিলেন। ওয়ার্ধাতে আরএসএস শিবিরে জাতপাত মুক্ত সমাজের ছবি দেখে তিনি কিরকম মুগ্ধ হয়েছিলেন। (‘Complete works of Gandhi’ section 89, page 193-194)। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল গান্ধীজীর সঙ্গে স্বয়ংসেবকদের সম্পর্ক। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর আর ডিসেম্বর মাসের একাধিক প্রার্থনা সভায় তিনি উল্লেখ করেছেন আর.এস.এস এর নাম।
গান্ধীজী জিন্না সাহেবকে জানালেন যে তিনি হিন্দু মুসলমানের সৌভ্রাতৃত্বের জন্য পাকিস্তানে যেতে চান। জিন্না সম্মত হলেন।। জিন্না গান্ধীজীকে করাচিতে আসতে আহ্বান অরলেন। গান্ধীজী বললেন তিনি লাহোরে ৫০টি উদ্বাস্তু পরিবার নিয়ে ফিরে যাবেন। দিনও ঠিক হয়েছিল। ১৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮। ঐতিহাসিক কে.কে.খুল্লার তখন ১৬ বছরের যুবক। তিনিও তার সঙ্গী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ জানুয়ারী নাথুরাম গডসে তাঁকে হত্যা করল।
গডসে বোম্বে থেকে দিল্লিতে এসেছিল। গডসে যে বাড়িতে থাকত সেই বাড়ির মালিক অবৈধ অস্ত্র রাখার জন্য এমনিতেই গোয়েন্দা দফতরের নজরে ছিল। গান্ধীজীর জীবনহানির সম্ভবনা গোয়েন্দা দপ্তরের অজানা থাকার কথা নয়। এমনকি মহাত্মা গান্ধী হয়ত নিজেও বুঝেছিলেন। তার জন্যই তিনি নিজের উইল করলেন। তাঁর অন্তিম ইচ্ছাতে জানালেন, রাজনৈতিক দল হিসাবেকংগ্রেসকে ভেঙ্গে দেওয়া হোক। কাকতালীয় ভাবে সেই ইচ্ছা তিনি তাঁর মৃত্যুর দিনেই জানিয়েছিলেন।
১৯৩০ সালের আগে ভারতবর্ষ ভাগের কথা কেউ বলেন নি। কেম্বব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় মুসলমান ছাত্রদের মাথাতেই প্রথম এই ভাবনা এল। চৌধরী রহমত আলী ১৯৩৩ সালে যখন পাকিস্তানের প্রস্তাব দিলেন, তাতে PAKISTAN এর মধ্যে বাংলা ছিলই না। ছিল পাঞ্জাব (P), আফগানিয়া(A) (উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ), কাশ্মীর(K), সিন্ধ আর বেলুচিস্থান(STAN)। বাংলা জুড়ে গেল কিভাবে? ১৮৫৮ সালের সিপাহী বিদ্রোহকে যদি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ধরা হয়, তবে তার পরে ৭৫ বছরেও ভারত ভাগের কথা আসেনি। লালা লাজপত রাই, বিপিন চন্দ্র পাল, চিত্তরঞ্জন দাশ, পুলিন বিহারী দাস, উল্লাসকর দত্ত, বাঘাযতীন, মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদর- সবার জন্মস্থান পাকিস্তানে চলে গেল। মাত্র ১৭ বছরে সব শেষ হয়ে গেল। হয়ত কটা দিন অপেক্ষা করলে ……। যদি প্রত্যয় নিয়ে বলতে পারতাম, “আমরা দ্বিজাতি তত্ত্বে বিশ্বাসই করি না, দেশ একটাই। অখন্ডই থাকবে।”