মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। সংসদে এনেছে সংশোধনী বিল। এবার মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর মতে, মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ালে ব্যাভিচার হবে। সমাজ উচ্ছন্নে যাবে।
এই প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ করা হলে মেয়েদের ক্ষতিই হবে। বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মিল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনার’। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই নারীর প্রতি অবমাননা এবং যৌন অনাচার ও অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে দেশে। যৌন অনাচার আরও বেড়ে যাবে যদি ২১ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের বিয়ে আটকে রাখা হয়’।
সিদ্দিকুল্লার বক্তব্য, তিনি জমিয়তে উলেমায় হিন্দের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তৃণমূল কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে সুযোগ এলেই তিনি এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। প্রসঙ্গত, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে লড়েন।
ইসলামিক ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পনেরো বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে বৈধ জানিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, তবু ১৮ বছর বয়সকে সব ধর্মের মানুষই মান্যতা দিয়েছে। এ নিয়ে কোনও বিবাদ নেই। কিন্তু মোদী সরকারের উদ্দেশ্য হল, মুসলিম পারসোন্যাল’ ল-কে অস্বীকার করা। সংশ্লিষ্ট সংশোধনী আইনে বলা হয়েছে, ধর্ম এবং রীতি নির্বিশেষে বয়সের এই মাপকাঠি বলবত হবে।