চুক্তি ছিল মোট ২২টির। প্রথম দফায় শক্তিশালী ও আধুনিক প্রযুক্তির ৪টি আপ্যাচি (এএইচ-৬৪ই) হেলিকপ্টার এল ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে বায়ুসেনার অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হবে আরও ৮টি। মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং জানিয়েছে, বছর শেষের আগেই বিধ্বংসী ২২ টি যুদ্ধ-চপারে সেজে উঠবে ভারতীয় বায়ুসেনা।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৫ সালেই বায়ুসেনার জন্য ২২টি আপ্যাচি ও ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার কিনতে তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে রেখেছিল।ডোনাল্ড ট্রাম্প জমানায় ২০১৭ সালে অতিরিক্ত ৬টি আপ্যাচি চপারের জন্য মোট ৪,১৬৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পুলওয়ামা ও বালাকোট কাণ্ডের পরে ভারতীয় বায়ুসেনাকে ঢেলে সাজাবার কাজ চলছে। শক্তি বাড়াতে ইতিমধ্যেই যুদ্ধ-চপার কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহে ৪টি আপ্যাচি চপার পৌঁছে গেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দোন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ৮টি পৌঁছবে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। আমেরিকা, ইজরায়েল, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি অত্যাধুনিক এই যুদ্ধ-চপার ব্যবহার করে। এ বার ভারতের হাতেও এই অত্যাধুনিক যুদ্ধ-চপার এল।
বোয়িং জানিয়েছে, এই চপারগুলির যে কোনও ধরণের আধুনিক যুদ্ধ-ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার ক্ষমতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে পারে এই চপার। বিপক্ষের সাধারণ হেলিকপ্টারের সামনে সেনাবাহিনীকে যা অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। যে কোনও আবহাওয়ায়, এমনকি রাতেও এগুলি নিখুঁত ভাবে আঘাত হানতে পারবে শত্রু ঘাঁটিতে। গোপনে হানা দিতে পারা, তেলের সুরক্ষাও এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। চার পাখাওয়ালা এই চপার লেসার, ইনফ্রারেড রশ্মি ও অন্যান্য যন্ত্রের সাহায্যে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে।
প্রতিবেশী বলয়ে উত্তেজনা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে দর কষাকষির রাস্তায় না গিয়ে বরং যে কোনও হামলার যোগ্য মোকাবিলা করার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করে রাখাটাই শ্রেয় বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের যুদ্ধ-চপার আকাশপথে ভারতের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। ২০২০ সালের মধ্যে আরও কিছু আপ্যাচি চপার ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হতে পারে বলেই জানিয়েছে বায়ুসেনা সূত্র।