‘তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোথাও যাব না’। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বকেয়া আদায়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজিও হয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পরবর্তীতে জানিয়ে দেন, তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোথাও যেতে রাজি নন তিনি।
বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি সাড়া দেননি, বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই খবর শুনে শুভেন্দু পাল্টা বলেন, ‘ফোন ধরিনি, কারণ আমার ফোন ট্যাপ হয়। ফেসটাইমে ধরেছি। দিল্লি যাওয়ার আগে খসড়া প্রস্তাব চেয়ে পাঠিয়েছিলাম। দলে গঠনতন্ত্র আছে। আলোচনা করে জানাব। কিন্তু দেখলাম, আমার ফোন রাখার আগেই টিভিতে দেখানো হয়ে গেল পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলনেতার আলোচনা’।
শাসকদলের প্রতি তাঁর তোপ, ‘এই প্রতিনিধিদলে আমাদের কি তারা নিতে চায় নাকি ব্যবহার করতে চায়? বিজেপি কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্ল্যাকমেল করা উদ্দেশ্যে প্রস্তাব এসেছে। সেটা আমরা দেখেছি। আলোচনা করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, তৃণমূলের হিংসায় বিজেপি কর্মীদের রক্ত লেগে আছে। যে তৃণমূল বিধানসভার ভিতরে বিজেপি বিধায়কদের শারীরিক নিগ্রহ করে, বিধায়ক-সহ বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না, কার্ডেও নাম থাকে না। তাই আমরা একসঙ্গে যাব না।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘২০২১-এ যেভাবে বিধানসভা পরিচালনা করছে শাসকদল, তাতে সমস্ত ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত। বিরোধীদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বগটুই থেকে ডেঙ্গু, যে কোনও বিষয়ের উপর আলোচনা চাইলেই বলা হয় ‘বিচারাধীন’।