পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে রক্ষা করতে যা যা করা দরকার, তাই করবো।
—–পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।।
“ভারতীয় সংবিধানের ১৫৯ ধারা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজ্যপাল হিসেবে ‘আমার সম্পূর্ণ সাধ্য ও ক্ষমতা অনুযায়ী আমি সংবিধান ও আইন রক্ষা করবো এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবো। আমার শপথবাক্য এবং সংবিধান অনুযায়ী যা যা করা উচিত, আমি তার সবটাই করে ছাড়বো। মমতা ব্যানার্জি, আপনি সংবিধান মেনে চলার শপথ নিয়েছেন। সংবিধানের ধারাগুলো যে অস্বীকার করা যায় না, তা পড়ার বইতেও লেখা থাকে। দয়া করে আপনি আপনার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন, আমাকেও আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে দিন। নিজের পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ার অপরাধে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপর যে নজিরবিহীন তান্ডব নেমে এসেছে, কোমও সুস্থ মানুষের পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মানুষ খুন হচ্ছে, মানুষের বাড়ি, দোকানপাট লুট হচ্ছে, মা বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে, সহায় সম্বল ফেলে প্রাণ বাঁচাতে নির্যাতিতরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এসব কিভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব!!!??? এসব তো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার সামিল। আমি আজ সকাল ১১টায় কোচবিহারে যাব। সেখান থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মাথাভাঙা, শীতলকুচি, সিতাই ও দিনহাটায় যাব। কোচবিহারের সার্কিট হাউসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলব। পরের দিন সকালে হেলিকপ্টারে প্রতিবেশি আসাম রাজ্যে যাব। সেখানকার রানপাগলি ও শ্রীরামপুর ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থীদের সাথেও কথা বলবো।”
——— পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর তান্ডবে আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্তে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, এই পরিদর্শন আটকাতে আইনগত সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বাধা দিয়ে চিঠ দেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, এই চিঠির জবাবে পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মমতা ব্যানার্জির রক্তচক্ষু পরোয়া না করে সাহসীকতার সাথে নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মান্যবর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
১৩ই মে ২০২১ ইং।।