২১শে ফেব্রুয়ারি কে যে দৃষ্টিতে দেখি

২১ শে ফেব্রুয়ারির আন্দোলন কে আমি যেভাবে দেখি: জোর করে ইসলামিক আরবী ভাষার অনুকরণে উর্দু ভাষা দিয়ে হিন্দু সংস্কৃতিঘেষা বাংলা কে প্রতিস্থাপিত করে, দ্রুত হিন্দু থেকে কনভার্টেড হওয়া তথাকথিত মাজার ভক্ত সুফি মুসলিম দের ওহাবী মুসলিম বানানো ও বাকি হিন্দুদের মুসলিম বানানো র পাকিস্তানি মুসলিম শাসকদের ঘৃণ্য চেষ্টার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, যা পরবর্তী কালে পূর্বপাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।।

মূল পাকিস্তানে আজ মাত্র কম বেশী ২% হিন্দু, যে সংখ্যা ১৯৪৭ এ কমবেশি ২১%ছিল। উর্দুর প্রভাবেই এটা ত্বরান্বিত হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ব্যারাকে সৃষ্ট, পাকিস্তানের ভারত থেকে যাওয়া, মোট নাগরিকের ২% উদ্বাস্তুদের মাতৃ ভাষা উর্দু। আজ হিন্দু বিরোধিতার কারণে , সব পাকিস্তানি তাদের মাতৃভাষার হরফ ভুলে, উর্দুভাষায় মাতৃভাষা লেখে ,বলে, পড়ে নিজেকে সৌদি সমতুল্য মুসলিম ভাবে।

বাংলাদেশের বাংলা- আজ জোর করে উর্দু আরবি মিশ্রিত বাংলা।

আমার অনুমান, আওয়ামিলিগ সরকার বিদায় নিলে, হেফাজত আসলে, এখনো যে সব সংস্কৃত বাংলা শব্দ অবশিষ্ট আছে, সে গুলো জোর করে শাহাদাৎ (শহীদ) বরণ করিয়ে, সওয়াব অর্জন করবে ও জান্নাতের পথের কাটা দূর করবে বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি হিন্দুরা আজকাল ঘরেও হিন্দি শব্দ পানি বলে, বাঙ্গালী শব্দ জল বলেনা, এমন কি হিন্দু শিশুদের অনেকে জল কাকে বলে জানেনা! তবে বাংলাদেশে আজ সব সরকারী বিষয়বস্তু, কাজ, উচ্চ শ্রেণীতে বাংলায় পঠন পাঠনের ব্যবস্থা বাংলায় তেমনি বাংলায় বইও আছে।

পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীরা সবাই এখনো পয়সার অভাবে ইংরেজি ভাষী হতে পারছেনা, সংবাদ মাধ্যম প্রতিদিন বাংলায় জোর করে ইংরেজি শব্দ বসিয়ে, বাঙ্গালী শখ পূরণ করছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের মত শুদ্ধ বাংলায় / ইংরেজিতে বর্তমান মন্ত্রিসভার কেউ বলতে লিখতে পারে কি?

মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান-ঠাকুর বলেছেন। পৃথিবীতে যে জাতি উন্নতি করেছে,তারা মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জন করেই করেছে।

ভারতের কাছে অনুরোধ সব নাগরিকদের আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি বিদ্যা প্রয়োগ করে, মাতৃভাষায় সব জানার বলার লেখার আবেদন করার সুযোগ দিক, তেমনি স্কুলে বিনামূল্যে তে বিভিন্ন ভাষায় (মাতৃভাষা+ ইংরেজি, পরে আরো এক ভারতীয় বা বিদেশি ভাষা), পড়াশুনা শেখাবার জন্য, দক্ষ শিক্ষক এর যোগান দিক। তবেই দেশের উন্নতি হবে।

আমি নিজেও আজকাল আর ইংরেজিতে শব্দ ইত্যাদি পড়িনা। সফটওয়ার দিয়ে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে দ্রুত পড়ে বুঝতে পারি। সঠিক ইংরেজি ব্রিটিশদের মত জানিনা বলে, হীনমন্যতায় ভুগিনা। তবে শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সফটওয়ার সুযোগ দেয়। আমি হলপ করে বলবো জার্মানে, ইংলিশ ভাষী শুনবে ইংলিশে-১০০% এখনো নির্ভুল নয়।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য ২৭ টা দেশের ২৬ টা ভাষায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে কাজ কি করে হয়,সেটা বুঝে ভারত প্রয়োগ করুক।

চীন জাপান জার্মান ফরাসি রাও নিজের ভাষায় পড়াশুনা করে উন্নতি করছে। মাতৃভাষা , মাতৃভূমি, মায়ের ট্রাডিশনাল খাবার,মায়ের সংস্কৃতি কোনো মতেই অবহেলা করা উচিত নয়। সেটাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করা উচিত।

মৃণাল, বার্লিন ২১.০২.২০২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.