বললে বলতে হবে আপনাকেই। নাহলে এই “শিল্পকর্ম”টি ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত। আপনার আমার সবারই।

তালিবান আগের আমলের একজন মহিলা পুলিশ, যে কিনা অন্তঃসত্ত্বা ছিল, তাকে মেরে ফেলেছে। কারণ শরীয়ায় মেয়েদের বোরখা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ বোরখা যদি “চয়েজ” না হয় তো মরতে হবে।

তালিবান মহিলা ক্রিকেট ব্যান করেছে। কারণ বোরখা পরে ক্রিকেট খেলা যায় না। শরীয়ায় বোরখা বাধ্যতামূলক। বোরখার “চয়েজ” না হলে মরতে হবে।

তালিবানদের সমর্থক আপনার আশে পাশেই একটু চোখ খুললেই পাবেন। তার বিশেষ গোষ্ঠীর। যাদের আইনের নাম শরীয়া। যারা মনে করে সেটাই দিয়েছে “সর্বোচ্চ সম্মান”…

এবার দেখুন এই “শিল্পকর্মটিকে”.. এইটিতে হিন্দুদের দেবীকে মুড়ে দেওয়া হয়েছে “শরীয়ার সর্বোচ্চ সম্মানে”.. তার মুখ বা শরীরে ইমানদারদের ইমান ভঙ্গ হচ্ছে হয়তো। কারণ বাংলাদেশে শারদীয়া মুর্তিভাঙা উৎসব বাৎসরিকভাবে আয়োজিত হয়ে আসছে বহুকাল। কোন শিল্পীর শিল্পকর্ম ওসবে নাক গলায় না। কারণ তাহলে মাথা থাকবে না।
নরম মাটিতে আঁচড় কাটতে ভালো লাগার নাম শিল্পীসত্ত্বা। তাই সুনীল গাঙ্গুলীরা নোংরামি করেন যে গোষ্ঠী নিয়ে সেখান থেকেই ভক্তিবাজারও পান। ফলে যত বিকৃতি, যত নোংরামি, যত স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচার গোটাটাই চলতে থাকবে তাদের নিয়ে যারা এগুলোকে “ইগনোর” করে নিজেদের মহান ভাবার ফ্যান্টাসী করে থাকে।

কিন্তু কথা এখানেও না। হিন্দুরা নিজেদের সংস্কৃতি বাঁচাতে না পারলে সে সমস্যা তাদের। কিন্তু এই যে “মহান শিল্পকর্ম”টি, এটা দেখে একটা আশঙ্কা মাথায় আসছে না?
“রালিভ চালিভ ইয়া গালিভ”… মনে পড়ে যাচ্ছে কিন্তু। তাদের মত হতে হবে, তাদের নির্দেশে নত হতে হবে, তবেই পৃথিবীতে বাসের অধিকার আছে। নাহলে….
বাংলাদেশ, পাকিস্তানে হিন্দুদের শতাংশের গ্রাফও মনে পড়ছে না? “তাদের” দেশে সবাইকে তাদের মতেই চলতে হবে। এভাবেই বস্তাবন্দী করতে হবে বেঁচে থাকার প্রতিটি স্বাধীনতাকে। তারপর…
তারপর অন্য ভুখন্ডে পাঠিয়ে দিতে হবে নিজেদের এজেন্ট। তারা শেখানে গিয়ে কাফেরদের সংস্কৃতিকে বিকৃত করবে সেকুলারিজম বা শিল্পের নামে। তারপর….

তার আর পর নেই।
এসব চলতে থাকবে। ততদিন চলতে থাকবে যতদিন না এগুলোকে কঠোরভাবে রোখা হবে। যতদিন না গোষ্ঠীগতভাবে কড়া প্রতিবাদ উঠে আসবে। প্রতিটি প্রকৃতিবাদী ধর্মীয় সংস্কৃতি শেষ হয়ে গেছে এই আব্রাহামিক সাম্রাজ্যবাদের দাপটে। একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে বেঁচে আছে হিন্দুর হিন্দুত্ব। সেটাকে মেরে ফেলতে এজেন্ট ভাড়া করা হবেই। ফলে তাদের ভাড়ায় খাটা প্রগতিমহল এই শরীয়তি নোংরামির বিরুদ্ধে আধখানা কথাও বলবে না।

বললে বলতে হবে আপনাকেই। নাহলে এই “শিল্পকর্ম”টি ভবিষ্যতেরই ইঙ্গিত। আপনার আমার সবারই।
Diptarup Samyadarshi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.