সিবিআই দফতরে গরহাজিরা নিয়ে এবার চিঠি পাঠালেন অনুব্রত মণ্ডল। জানালেন তিনি তিন ‘পি’ -তে কাতর। তাই সময় দিতে হবে। তবে ২১ মে-র পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি থাকবেন। উল্লেখ্য, এখানে ‘পি’ হল পেইন, অর্থাৎ ব্যথা।
সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিয়ে অনুব্রত লিখেছেন, ‘তিনটে ‘পি’ রয়েছে, যা নিয়ে যে কোনও হোমোস্যাপিয়েন্স ভয় পায়, আতঙ্কে থাকে। সেই তিন ‘পি’ হল, পেইন অফ দ্য টুথ, মানে দাঁতে ব্যথা। পেইন অফ দ্য রেকটাম, মানে মলদ্বারে যন্ত্রণা। আর পেইন অফ দ্য স্ক্রোটা, মানে অণ্ডকোষে ব্যথা’।
চিঠিতে অনুব্রত খোলাখুলি লিখেছেন, ‘আমার অণ্ডকোষে সংক্রমণ হয়েছে। সেই সঙ্গে অণ্ডকোষে সাইনাস হয়েছে। আর সে যন্ত্রণা এমনই ভয়ানক যে শত্রুরও যেন এমন না হয়’। প্রসঙ্গত, অণ্ডকোষে সাইনাস হওয়া বা স্ক্রোটাল সাইনাস একটি বিরল রোগ। যা অনেক শিশুর শরীরে দেখা যায়।
এরপর সিবিআইকে শর্ত দিয়ে তিনি লিখেছেন, যেহেতু ডাক্তাররা তাঁকে চার সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলেছেন, তাই তাঁকে যেন তাঁর বাড়িতে গিয়ে ২১ মের পর জেরা করা হয়। অনুব্রত কথা দিয়েছেন, জেরার সময়ে কোনও রেকর্ডিং যন্ত্র তিনি লুকিয়ে রাখবেন না। ঘরে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরাও থাকবে না। মোবাইল ফোনও সঙ্গে রাখবেন না অনুব্রত। সিবিআইয়ের সামনে তিনি থাকবেন একা।