গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্স চেয়ারম্যান সাজ্জাদ লোনে (Sajjad Lone)। প্রায় এক বছর গৃহবন্দী থাকার পর শুক্রবারই মুক্তির স্বাদ পেলেন সাজ্জাদ লোনে। গত বছর জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর সাজ্জাদকে গৃহবন্দী করা হয়। তাঁকে প্রথম ৬ মাসের জন্য রাখা হয়েছিল এমএলএ হোস্টেলে। পরে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি নিবাসে রাখা হয়। এদিন মুক্তির স্বাদ পাওয়ার পর টুইট করে জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্স চেয়ারম্যান সাজ্জাদ লোনে লিখেছেন, ‘অবশেষে আমি মুক্তি পেলাম। অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে…..’।
গত বছরের ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার দিনই জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি-সহ বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বা গৃহবন্দি করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন সাজ্জাদ লোনে। জম্মু কাশ্মীর ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল ওই সময়েই। তার পর গোটা উপত্যকায় জারি হয়েছিল কড়া নিয়ন্ত্রণ। তখন থেকে বন্দিই ছিলেন ওই নেতারা। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পাল্টেছে। মোবাইল, ইন্টারনেট, কেবল টিভি, ল্যান্ডলাইন-সহ যাবতীয় পরিষেবা চালু হয়েছে। প্রায় পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে উপত্যকায়। ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন।