বিলে অনুমোদন দিতে দেরি করছেন রাজ্যপাল। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পাল্টায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি বললেন, তিনি কোনও রবার স্টাম্প বা পোস্ট অফিস নই। যে যা বলবে তা কোন কিছু না বুঝে শুনেই সই করে দেবেন৷
মঙ্গলবার নজিরবিহীনভাবে ২ দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, রাজভবনে আটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল। সেগুলি পেশ করা যাবে না। সেই কারণে অধিবেশন স্থগিত রাখা হচ্ছে। রাজ্যপালের সম্মতির পর বুধ ও বৃহস্পতিবার এই বিল পেশ হওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। তারপর আলোচনা। কিন্তু রাজভবনের সচিবালয় থেকে বিল ফেরত না আসায় দুদিন বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সরকার।
এরপরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবন বিবৃতি দিয়ে রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই দায়ী করে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, এসি এবং এসপি কমিশন সংক্রান্ত বিল রাজভবনে পৌঁছায় ২৯ নভেম্বর পরে ৩০ নভেম্বর এবং পয়লা ডিসেম্বর ছুটি থাকার কারণে সরকারি কাজ হয়নি। ২ ডিসেম্বর অর্থাত্ সোমবারই রাজভবনের তরফে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে বিল নিয়ে খুঁটিনাটি জবাব করেছিল রাজ ভবন। কিন্তু সরকারের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। সেই কারণেই অন্ধভাবে বিলে অনুমোদন দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই অধ্যক্ষ রাজভবনে বিরুদ্ধে যে দোষারোপ করেছেন তা ভিত্তিহীন।বুধবার সকালে ফের টুইট করলেন রাজ্যপাল। টুইটারেও গাফিলতির জন্য সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন,”আমি কোনও রবার স্টাম্প বা পোস্ট অফিস নই। যে যা বলবে তা কোন কিছু না বুঝে শুনেই সংবিধান না মেনেই আমি করে দেব।” রাজ্যপাল আরও বলেন, “কোনও বিল সম্পর্কে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেওয়া এবং কোন ধরনের দেরি না করে তাতে অনুমোদন দেওয়া রাজ্যপালের কর্তব্য।”
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল এর আগেও অভিযোগ করেছিলেন যে, বিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে। বিলের ব্যাখ্যা সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওই বিলগুলির মধ্যে আটকে রয়েছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কমিশন ফর দ্য শিডিউলড কাস্টস অ্যান্ড শিডিউলড ট্রাইবস বিল’, ‘প্রিভেনশন অব লিনচিং বিল ২০১৯’।
তবে এদিন রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত শাসক দল বা রাজ্য বিধানসভার তরফে দেওয়া হয়নি।